বাহাদুর ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলা ‘মানবিক’ বিবেচনায় প্রত্যাহার চান শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান।
এর আগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৫ জুন মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান জানান, ‘মাহির চৌধুরী দেয়া স্ট্যাটাসটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু সে যেহেতু নিজের ভুল বুঝতে পেরে বেশ কয়েকবার ক্ষমাও চেয়েছে। তাই ‘মানবিক’ দিক বিবেচনায় প্রশাসনের তাকে ক্ষমা করে দেয়া উচিত।
যদিও ইমরান খানের বক্তব্যকে সংগঠনের নয়, নিজের ‘ব্যক্তিগত’ বলে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এদিকে মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষাথীরা।
একইসঙ্গে ‘হয়রানিমূলক’ এ মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ বাতিলেরও দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব শাবিপ্রবি’ ও সাবেক শিক্ষার্থী’ নামের দুটি প্লাটফর্ম।
গত বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত আলাদা দুটি বিবৃতিতে তারা বর্তমান ১১২০ জন শিক্ষার্থী ও সাবেক ২৮৬ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরও সংযুক্ত করে দেয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন মাহির। পরে ওই পোস্টটি দেখে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে ‘বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’ জানিয়ে পোস্টটি মুছে ফেলেন মাহির ও পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর মাহিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
টি.কে ওয়েভ-ইন