ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের মো: সামসুল হকের পুত্র মো: নুরুল আমিন (২৭) ছিলেন একজন গার্মেন্টস কর্মী। ছাত্র জীবনেও ছিলেন মেধাবী বড়হিত উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়োয়া নুরুল আমিন অভাবের তাড়নায় পরিবারের হাল ধরতে নিতে হয় গার্মেন্টেস এ চাকরি। পায়ের ডিস্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ছাডতে হয়েছে চাকড়ি। পরিবারের হাল ধরার মত কেউ নাই । ডাক্তারদের পরামর্শ হল উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে সুস্ত হওয়া সম্ভব। ময়মনসিংহ এবং ঢাকা চিকিৎসা করে তিনি এখন সব হারিয়ে নিঃশ্ব । জমি জমা যা ছিল সবটুকু করে দিয়েছেন বিক্রি। অবশেষে বাচাঁর জন্য চেয়েছেন সাহায্য। সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসলে আর্থিকভাবে সহযোগীতার করে চিকিৎসার মাধ্যমে বেচেঁ থাকার স্বপ্নটুকু হতে পারে পূরণ। দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল হক চিকিৎসা করার পর আরো উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান। কিন্তু তাতেও কাজ হল না। দশ মাস ধরে চিকিৎসা নেওয়া নূরুল আমিনের উপর নির্ভরশীল ছিল তার পরিবার। নুরুল আমিনের আশা বেচেঁ থাকার। বেচেঁ থাকলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন । বাহির উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নূরুল আমিনের বেচেঁ থাকার স্বপ্ন হতে পারে পূরণ। বাহির রাষ্টে ভারতে পায়ের ডিস্ক পরিবর্তন করলে প্রয়োজন ৪/৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু দশ বছর চিকিৎসা সেবা নিয়ে জমি জমা বিক্রি করে নুরুল আমিন এখন পথের ভিখারী। তার আশা যদি কোন সামর্থবান এগিয়ে এসে চিকিৎসার দায়িত্ব নিত তবে সুস্তভাবে বেচেঁ থাকার স্বপ্নটুকু পূরণ হত। দু’মুটু খাবারও জুটে এখন প্রতিবেশীর সহায়তায়। অসহায় অবস্তায় ঘরে পড়া নাই কোন রোজকার কিনতে হয় ঔষধ প্রযোজন হয় খাবার দাবারের সব মিলিয়ে যেন জীবিত থাকতেও মরা পরিবারটি। কিন্তু সব একদিকে রেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেয়েছেন সাহায্য। কেউ উনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে হয়তবা ফিরে পেত নতুন জীবন। ২৭ বছর বয়সী তারুন্নে টগবগে যুবক উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় যেন নিভে যাচ্ছে জীবনের আলো। যাদের সামর্থ আছে এগিয়ে আসুন উন্নত চিকিৎসার করার ব্যবস্তা করে দেওয়ার মাধ্যমে সুযোগ করে দিন নতুন জীবনে ফিরে যাবার । একই গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক জানান, এই পরিবারের কষ্ট বর্ণানা করার মত না । যা দেখলে চোখে পানি চলে আসে। যদি সামর্থবান কোন ব্যাক্তি নুরুল আমিন ভাইয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিত খুবই উপকার হত।