ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন করায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক মো. সবুজ খান (৪০) এর ওপর হামলা, মাথায় উপর্যুপুরি আঘাত ও হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটে শনিবার (৫ নভেম্বর/২০২২) সাড়ে ৪টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়া মোড়ে।
আহত সবুজ খানকে প্রথমে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
রোববার (৬ নভেম্বর/২০২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ খান জানান, শনিবার বিকালে কলতাপাড়া মোড়ে মোটর সাইকেল থেকে নামার সঙ্গে অর্তকিতভাবে ১০/১২জন হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলোপাতাড়ীভাবে মাথার পিছন দিকে ও পিঠে আঘাত করে। পিটিয়ে বাম হাত ও ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ সময় তার মোটর সাইকেল ভেঙ্গে ফেলে, সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পকেটে থাকা প্রায় ২০হাজার টাকাও ছিনতাই হয়।
তিনি আরো জানান, বিগত ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সরকারের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করায় এ হামলা করা হয়েছে। নির্বাচিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুমের নির্দেশে তার লোকজন এ হামলা করে। হামলাকারীদের মধ্যে মেহেদী, ইমরান, বিল্লালকে চিনতে পারলেও অন্যদের চিনতে পারি নাই।
আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট আখ্যায়িত করেন ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আমিও বিচার চাই, তবে নিরাপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। শনিবার সারাদিন মায়ের চিকিৎসা কাজে আমি ময়মনসিংহ ছিলাম।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা। তিনি জানান, মুজিব আদর্শের কর্মী ওপর এ হামলা মেনে নেয়া যায় না। যারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, শ্রমিক নেতা সবুজ খানের ওপর হামলার ঘটনাটি শোনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোববার (সন্ধ্যা ৫টা ৩০মিনিট) অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। অভিযোগ পেলে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সরকার জানান, নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করায় ছাত্রলীগ নেতা হাসমত, সুজন মিয়া, ফলবিক্রেতা রফিকসহ ৮/১০জনের ওপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছে। বনবিভাগের কর্মচারী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে নৌকা প্রতীকের পোস্টার থাকায় সেই বাড়িতে আগুন দেয়া হয়।