আজ রবিবার ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
গৌরীপুরে কন্যাই হলো এখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মায়ের চোখের আলোয় ফ্যাসিবাদ, লুটেরা-মাফিয়া সরকার আমাদের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে! গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান ৭টি দোকানের প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মিভূত তারাকান্দায় উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্ভোধন তারাকান্দা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আয়োজনে দিনব্যাপী অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গৌরীপুরে কৃষকের এসআরআই শস্য কর্তন উৎসবে উৎফুল্ল কৃষাণ-কৃষাণীরা! একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক আসকার ইবনে শাইখের আজ ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী তারাকান্দায় একমাত্র রেলস্টেশন বন্ধ ‌, যাত্রী দুর্ভোগ, ক্ষতি হচ্ছে রেলওয়ে সম্পদ তারাকান্দায়এলজিইডি’র একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট মোফাজ্জলকে বিজয়ী করতে এলাকাবাসীর অঙ্গিকার
প্রধান প্রতিবেদক || দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : মে, ২৫, ২০২২, ৯:২৪ অপরাহ্ণ




বিরোধপূর্ণ জমির জালকাগজে দলিল সৃজন নিয়ে গৌরীপুরে তোলপাড়!

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের মরিচালী গ্রামের হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে জাল কাগজে দলিল সৃজনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৌরীপুর সাবরেজিস্ট্র অফিস ও ভূমি দপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি উপজেলার পানাটী গ্রামের মো. হোসেন আলী মুন্সীর পুত্র।
অপরদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি ডৌহাখলা বাজারের জমি দখল করে রেখেছেন। প্রথম দোকানটি ছোট থাকলেও প্রতিনিয়ত বাজারের জমিতে দখল বাড়িয়ে চলছেন। এতে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকদের পণ্যবিক্রিতেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

মরিচালী গ্রামের মৃত ফজর আলীর পুত্র মো. আব্দুস সোবহান জানান, মরিচালী মৌজার বিআরএস খতিয়ানের ১৪৫ এর ৫৯৯ দাগ নম্বরে দেড় শতাংশ ও ৬১১নং দাগে ৮শতাংশ ভূমি বিআরএস জরীপে যৌথ খতিয়ানে হাজেরা খাতুন গংদের নামও লিপিবদ্ধ হয়। সংশোধনের জন্যে ২০২০সনে ঈশ^রগঞ্জ চৌকি আদালতে ৯০নং অন্যপ্রকার মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। এ মামলার প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৮আগস্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) গৌরীপুর বরাবরে এ জমির নামজারী, জমাখারিজ এবং উন্নয়ন কর স্থগিত রাখার বিষয়ে আবেদন ও বিজ্ঞ আদালতের ইনফরমেশান স্লিপ প্রদান করা হয়। হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছ এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সৃজন করে এবছরের ২৪ জানুয়ারি ছালেমা খাতুন, দুলেনা খাতুন, হাজেরা খাতুনের নিকট থেকে ৪৪৩নং দলিল সম্পাদন করে নেন। সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এক্স ৮৬৪৪৮১ নং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ জমা দেয়া হয়। দলিলটি সম্পাদন করেন সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. গোলাম হাচিবেশ শাহীদ মুন্সী (সনদ নং ৬৮৩৮)। এ ভূমি উন্নয়ন কর সৃজন (জাল তৈরি) করে জমির দলিল হওয়া বিষয়ে তিনি গৌরীপুর সাবরেজিস্ট্রার ও ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হেলেনা পারভীন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তানাধীন রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, জাল কাগজপত্র সৃজনের সঙ্গে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের একটি চক্র জড়িত রয়েছে। এক্স ৮৬৪৪৮১ নং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ প্রসঙ্গে ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ হালিম জানান, খাজনার রশিদটি জাল, বানোয়াট। শুধু খাজনার রশিদ নয়, এ চক্রটি ভূমি অফিসের ২৭২৮ (আইএক্স-আই) ২০২১-২২ নং নামজারী ও জমা খারিজ মোকদ্দমা এম-৪৯/০২/১৭নং যে ডিসিআরের কপি সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমা দিয়েছে তাও জাল। এ ঘটনা তদন্ত করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসা: নিকহাত আরা। তিনি ঘটনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে নোটিশ করেছে।
অপরদিকে জাল কাগজে দলিল সৃজন প্রসঙ্গে হাফেজ মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেন, তিনি বিআরএসে মালিকের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছেন। নিজে ভূমি অফিসে না গিয়ে, অন্যের মাধ্যমে খাজনার দেয়ার রশিদ নিয়ে আসাটা তার ভুল হয়েছে। বাজারের সরকারি জমি শুধু আমি না; অনেকেই দখল করে আছে! দলিল লেখক মো. গোলাম হাচিবেশ শাহীদ মুনশী এ প্রতিনিধিকে জানান, বিআরএস রেকর্ডের কপি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে তিনি দলিল করেছেন। রেজিষ্ট্রি অফিসে খাজনার রশিদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই।

আরেকটি সূত্র জানায়, সাবষ্ট্রি অফিসে ভুয়া বিআরএস, খাজনার রশিদ, ডিসিআর কপি হরহামেশা পাওয়া যায়। দলিল লেখকের একটি চক্র এ কাজে জড়িত। ওই সূত্র আরো জানায়, ২০১০সনের ১৪জুন তারিখে সহনাটী ইউনিয়নের জমি বিক্রেতা মো. ফজলু মিয়া ১০৮১নং দলিল মূলে মোহাম্মদ অলি উল্লাহকে ১৫শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ওই দলিলে ব্যবহৃত ১১৫নং বিআরএস কাগজ পরবর্তী জাল বলে প্রমাণিত হয়। আবার এই অলি উল্লাহ বিআরএস রেকডি ভূমির মালিক দেখিয়ে ২০১১সনের ২০জানুয়ারি তারিখে মো. নজরুল ইসলামের নিকট ২২৬নং দলিল মূলে বিক্রি করেন। এ দলিলেও ব্যবহৃত বিআরএস কপি ও অন্যান্য কাগজপত্র ছিলো জাল! এ প্রসঙ্গে দু’টি দলিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত দলিল লেখক আব্দুল হান্নান জানান, তখনকার সময়ে বিআরএসের এসব কপি পাওয়া যেত। অনেকদিন আগে হয়েছে তাই এই মুর্হূতে এরবেশি কিছু বলতে পারছি না।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১