আজ সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
গৌরীপুরে কন্যাই হলো এখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মায়ের চোখের আলোয় ফ্যাসিবাদ, লুটেরা-মাফিয়া সরকার আমাদের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে! গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান ৭টি দোকানের প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মিভূত তারাকান্দায় উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্ভোধন তারাকান্দা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আয়োজনে দিনব্যাপী অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গৌরীপুরে কৃষকের এসআরআই শস্য কর্তন উৎসবে উৎফুল্ল কৃষাণ-কৃষাণীরা! একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক আসকার ইবনে শাইখের আজ ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী তারাকান্দায় একমাত্র রেলস্টেশন বন্ধ ‌, যাত্রী দুর্ভোগ, ক্ষতি হচ্ছে রেলওয়ে সম্পদ তারাকান্দায়এলজিইডি’র একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট মোফাজ্জলকে বিজয়ী করতে এলাকাবাসীর অঙ্গিকার
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১২, ২০২১, ৬:২১ অপরাহ্ণ




গৌরীপুরে মুদি দোকানীর এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৯লাখ ২৪হাজার ৩২৭ টাকা !

গৌরীপুর প্রতিনিধি ঃ
বিশাল অংকের ভুতুড়ে বিল কারণে অনেকই পথে বসার উপক্রম হয়েছে। বাড়িভিটা বিক্রি করেও বিদ্যুৎ বিল দেয়ার নেই সামর্থ্য। কোনাপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন একজন মুদি দোকানী। তার ২০২০সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯লাখ ২৪হাজার ৩২৭টাকা। তিনি জানান, অক্টোবর মাসেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৮হাজার ১১৪টাকা, ইউনিট ছিলো ১২হাজার ৯৬০। এক মাস পরে নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে মিটারে রিডিং ৯৩হাজার ৮১৪ইউনিট উঠে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন নিবেদন করেও আমি প্রতিকার পাচ্ছি না। মিটারের এ রিডিংয়ের বিপরীতে বিদ্যুৎ বিভাগ ৯হাজার ২৪হাজার ৩২৭টাকার বিদ্যুৎ বিল করে দিয়েছে।
এসব ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি-অনিয়ম ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার (১২ মার্চ/২১) উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া কদমতলী বাজারে গ্রাহকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী জানান, হেলালের সাড়ে ৭শতাংশের বাড়িভিটে আর কদমতলী বাজারের ৩টি দোকান বিক্রি করে দিলেও এ বিল দেয়ার সামর্থ্য নেই।
অভাবের কারণে হেলালের একছেলের লেখাপড়া বন্ধ, রাজমেস্ত্রীর সহযোগী হিসাবে কাজ করছেন। স্বর্ণা আক্তার স্থানীয় ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ও আরেক ছেলে রিফাত মিয়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। অতিরিক্ত এ বিদ্যুৎ বিলের জন্য অফিসে দৌড়ঝাপ করতে গিয়ে ৩ বেলার খাবারও জুটছে না। হেলালের স্ত্রী নারগিস আক্তার জানান, বিদ্যুৎ বিলের চিন্তায় তার স্বামী রাতে ঘুমাতেও পারছেন না। দুঃচিন্তায় শারীরিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এ বিল প্রসঙ্গে আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ নিরঞ্জন কুন্ড বলেন, গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিটার পরীক্ষা করা হয়েছে। মিটার সঠিক থাকায় বিল করে দেয়া হয়েছে।
এমন আরেক অভিযোগ পাওয়া যায় পৌর শহরের গোলকপুর গ্রামে। এ গ্রামের মুদি দোকানী শিরিনা আক্তার। তাকেও দেয়া হয়েছে একমাসের বিদ্যুৎ বিল ৭৫হাজার টাকা। তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে বিচার প্রার্থী হয়েছি, ঘুরেছি, কেউ সহযোগিতা করেনি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১