আজ শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
তারাকান্দায়এলজিইডি’র একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট মোফাজ্জলকে বিজয়ী করতে এলাকাবাসীর অঙ্গিকার রোগীর সেবায় থাকে খোদার সন্তুষ্টি গৌরীপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল হুদা লিটনের ব্যাপক গণসংযোগ গৌরীপুর পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম আর নেই! মেহেদির রং মুছতে না মুছতেই লা*শ হলো নববধূ সাদিয়া গৌরীপুরে এসডিএফের উদ্যোগে স্টেক হোল্ডারদের কর্মশালা আইডিইবি ময়মনসিংহ শাখার সংবাদ সম্মেলন তারাকান্দায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা সভাপতি -শিমেল,সাধারণ সম্পাদক- সাজ্জাদ তারাকান্দায় থানার ওসি’র বিরুদ্ধে অবৈধ তদবিরবাজরা লেগে গড়েছে
||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২২, ২০২১, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ




করোনার কষাঘাত অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী এখন ইফতার বিক্রেতা

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
রাজধানীর ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম আলম (২২)। অভাবের তাড়নায় কলেজের হলে থেকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন। করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়ে যায় কলেজ ও হল। চলে যায় তাঁর টিউশনিটাও। অর্থকষ্টে বাড়ি ফিরে শামীম আইটি ব্যবসা শুরু করলে বন্ধ হয় সেটাও। এমন অবস্থায় জীবিকার তাগিদে রমজান মাসে গ্রামে ইফতারের দোকান দেয় শামীম।
শামীমের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামে। তাঁর বাবা হাবিব উল্লাহ গ্রামের দরিদ্র কৃষক। চার ভাই- বোনের মধ্যে শামীম বড়। তাঁর দুই বোন স্থানীয় স্কুলে নবম ও নার্সারিতে অধ্যয়ন করছে। ছোট ভাই ময়মনসিংহে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। সম্প্রতি করোনায় কাজ খুইয়ে সেও এখন বাড়ি এসেছে।
মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষার্থী শামীমের দেখা মিলে নহাটা বাজারে। সেখানে সড়কের পাশে টেবিলে ইফতারের পসরা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা করছেন তিনি। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা প্রসঙ্গে নিজের ইফতার বিক্রেতা হওয়ার গল্পটা বের হয়ে আসলো শামীমের মুখ থেকেই।
তিনি বলেন ‘অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর অভাবের তাড়নায় বাবা পড়াশোনার খরচ দিতে পারত না। তাই খরচ যোগাতে ৮ হাজার টাকায় দুটি টিউশনি শুরু করি। কিন্তু করোনায় কলেজ বন্ধের পাশাপাশি টিউশনিও চলে যায়। অর্থকষ্টে বাড়ি ফিরলেও সংসারে অভাবের তাড়নায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত। কিছু ত্রাণ সহযোগিতা পেলেও সেটা চাহিদার তুলনায় খুব কমু। তাই জীবিকার তাগিদে এই পেশায় আসা। তবে সংকট কেটে গেলে পড়াশোনা করতে ফিরে যাবো রাজধানীতে’।
গত বছর করোনাকালে রাজধানী থেকে বাড়ি আসে শামীম। বাবার একার আয়ে সংসার না চলায় একটি কম্পিউটার ক্রয় করে গ্রামে আইটি ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে চাকরির আবেদন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, লেখা কম্পোজ, প্রিন্ট সহ বিভিন্ন কাজ করা হত। করোনায় কাজ না থাকায় এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। অবশেষে পরিবারের কাছ থেকে ২৭০০ টাকা নিয়ে রমজান মাসে ইফতারের দোকান দেন শামীম।
শামীমের স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকার হবে। তবে করোনায় স্বপ্নের ছন্দপতন ঘটায় এখন সে ইফতার বিক্রেতা। তাঁর দোকানে ইফতার খাবারের মধ্যে রয়েছে ছোলা, মুড়ি, বুন্দিয়া, পেয়াজু, বেগুনি। এগুলো শামীম নিজেই বাড়িতে তৈরি করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। প্রতিদিন তার দোকানে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মতো বিক্রি হয়। এতে লাভ হয় ৩০০ টাকার মত।
শামীমের সাথে কথা বলতে বলতে বিকালের বেলা সন্ধ্যায় গড়ায়। ঘনিয়ে আসে ইফতারের সময়। দোকানে ভীড় বাড়তে থাকে ক্রেতারা। ইফতার নিতে আসা এক ক্রেতা শামীমকে বলে ‘কি ছোট ভাই বাইরে দোকান নিয়ে বসছো, করোনায় ভয় করে না’। মৃদু হেসে শামীম জবাব দেয় ‘ভয় করে, তবে সেটা ক্ষুধার চেয়ে বেশি না। পেট তো আর করোনা মানে না। একটা কিছু তো করে খেতে হবে’।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১