ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ বাড়ির শোবার ঘর থেকে বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমিরখাকুড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন— শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার খলিশাকুড়া গ্রামের রতন মিয়া (৩০) ও তার মেয়ে নুড়িয়া (৭)। আহত স্ত্রী জুলেখা (২৫) বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় নয় বছর আগে রতন মিয়ার সঙ্গে হালুয়াঘাটের জুলেখার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যা নুড়িয়ার জন্ম হয়। রতন গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন, আর জুলেখা দুই বছর আগে গৃহকর্মী হিসেবে দুবাই যান। বিদেশে অবস্থানকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি জুলেখা ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন এবং দেড় মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে প্রতি সপ্তাহের মতো রতন মিয়া কর্মস্থল থেকে স্ত্রী-সন্তানের কাছে আসেন। রাত আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শোবার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা-মেয়ে ও মাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটের ওপর থেকে মেয়ের এবং মেঝে থেকে বাবার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জুলেখাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, নাকি পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।