আজ মঙ্গলবার ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
১৮০ টাকা বকেয়ায় জরিমানা ৮৮৫ টাকা : মৃত গ্রাহককে পল্লী বিদ্যুতের উকিল নোটিশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি গৌরীপুরে দু’ট্রাকের সংঘর্ষে আহত-৪ : ট্রাকের ধান-চাল পাহাড়া দিলো বিএনপির নেতাকর্মী মান্নান ভাই, আমার সংগীত জীবনের দীপ্ত মাইলফলক : হারুন উর রশীদ একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে : মাহফুজ আলম ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ডাক্তার-বিচারকের সফল জননী আঞ্জুমানারা! গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নারী যাত্রী অপহরণ, ৫ ঘন্টা পর উদ্ধার : আটক-৪ গৌরীপুরের সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ওস্তাদ সুবোধ চন্দ্র সরকার : হারুন উর রশীদ গৌরীপুরের স্বজন আদিব পেলো জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক!
নিজস্ব প্রতিবেদক || দৈনিক বাহাদুর
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২১, ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ




সোলার সিস্টেমই ছিলো লুটের সিস্টেম! গৌরীপুরে ২শ ৯০টি প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি টাকা হরিলুট

সোলার প্যানেল প্রকল্পে ফ্যাসিস্ট দোসরদের দেয়া সিস্টেমই ছিলো হরিলুটের। প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় বাজার মূল্যের চেয়ে ৪গুণ থেকে ১০গুণ বেশি। ফলে এ সিস্টেমে ময়মনসিংহের গৌরীপুর আসনের তৎকালীন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ ও তার পুত্র জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজির আহমেদ রাজিবের নেতৃত্বে সোলার প্রকল্পে চলে হরিলুট। ২৯০টি প্রকল্পে নামে মাত্র কাজ করে লুটে নেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৯০লাখ ২৪হাজার ৫১৬ টাকা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সিংহভাগ সোলার প্যানেল বিকল হয়ে পড়েছে। উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজারে দেয়া সবকটি সোলার প্যানেল স্থাপনের মাত্র ৫/৬মাসের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও ডৌহাখলা বাজার, কলতাপাড় সড়ক, পাছারবাজার ও শ্যামগঞ্জ সড়কে স্থাপিত ১১টি স্ট্রীট লাইট দীর্ঘদিন যাবত অচল হয়ে পড়ে আছে।
এ উপজেলায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) এর ১ম ধাপে ৫টি প্রকল্পে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪শ টাকা, ২য় ধাপে ১৫টি প্রকল্পে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪শ টাকা, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ১ম ধাপে ১৪টি প্রকল্পে ৫১ লাখ ৬২হাজার ১৭০টাকা, ২য় ধাপে ১৯টি প্রকল্পে ৫১ লাখ ৬২হাজার ১৭০টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর কাবিটা ১ম ধাপে ৫২টি প্রকল্পে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮শ টাকা, ২য় ধাপে ৬৯টি প্রকল্পে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮শ টাকা, টিআর ১ম ধাপে ৬০টি প্রকল্পে ৪২ লাখ ৭২হাজার ৮৮৮টাকা, ২য় ধাপে ৫৬টি প্রকল্পে ৪২ লাখ ৭২হাজার ৮৮৮টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ২০১৭ সনের ৫ জানুয়ারি সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল্য পুণ:নির্ধারণ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেন। এ আদেশে একটি ২২০ ডব্লিউপি সোলার প্যানেলের মূল্য ৪৯হাজার টাকা, ৩০০ ডব্লিউপি সোলার প্যানেলের মূল্য ৬৫হাজার ৩৮০টাকা, ৪০০ ডব্লিউপি সোলার প্যানেলের মূল্য ৮২হাজার ৬শ টাকা ধার্য করা হয়। অথচ বাজারে ২৫বছরের ওয়ারেন্টিসহ রহিম আফরোজ কোম্পানীর ২৫০ ডব্লিউপি সোলার প্যানেলের মূল্য ৮হাজার ৯২৫টাকা, ৩২৫ ডব্লিউপি সোলার প্যানেলের মূল্য ১০হাজার ৯২০টাকা।
২০১৭ সনের ১৪ মে দেয়া পরিপত্রে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য বা নগদ টাকার অর্ধেক বরাদ্দ দিয়ে সোলার প্যানেল স্থাপন ও বায়োগ্যাস প্রকল্পে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়। ওই পরিপত্রে দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ-সুবিধা নেই বা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেসব এলাকায় সোলার সিস্টেম স্থাপন করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা, উপাসনালয়, হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদসহ জনসমাগম হয়, এমন স্থানে সোলার প্যানেল বসাতে বলা হয়। অথচ এ প্রকল্পের নিয়ম ভেঙে এ নির্বাচনী এলাকার জনপ্রতিনিধি’র বাসাবাড়ি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয় সোলার প্যানেল।
২০১৮-১৯অর্থবৎসরে টিআর প্রকল্পের অধিনে ১লাখ ৯৮হাজার ৭৩০টাকা মূল্যের একটি করে সোলার প্যানেল দেয়া হয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম হবিকে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে, রামগোপালপুরের রিপনকে। ৪০হাজার ৬৭০টাকা মূল্যের ১টি করে সোলার পান গৌরীপুর পৌরসভার খন্দকার আমিনুল ইসলামের পুত্র খন্দকার মোহাইমিনুল ইসলাম ও খান্দার গ্রামের মো. মেহেদী হাসান। ১৭হাজার ৫শ টাকা মূল্যের সোলার ১টি করে সোলার বরাদ্দ দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেরাব আরেফিন বাঁধনকে, অচিন্তপুরের কামাল মিয়া, বড়কালিহরের মো. রফিকুল ইসলামকে, নাহড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে। নিয়ম নীতিমালার তোয়াক্কা না করে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা করিম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আলমগীর হোসেন। এ প্রসঙ্গে জামালপুরের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (গৌরীপুরের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) আলমগীর হোসেন বলেন, প্রকল্পের তালিকা তৈরি করেন এমপি। সেই তালিকা মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। সোলার প্যানেল বিতরণে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও বিতরণের বিধান ছিলো। এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য তৎকালীন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ ও তার পুত্র তানজির আহমেদ রাজিবের মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
বরাদ্দের অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৬লাখ ১৯হাজার ৩৬০টাকা মূল্যে উপজেলা পরিষদের বিভিন্নস্থানে ৮টি স্ট্রীট লাইন স্থাপন, সমঅর্থে গৌরীপুর হতে বোর্ড বাজারে ৮টি স্ট্রীট লাইন স্থাপন, শ্যামগঞ্জ হতে হাসনপুর চৌরাস্তায় ৮টি স্ট্রীট লাইট স্থাপন, ৯ লাখ ২৯হাজার ৪০টাকা মূল্যে চন্দ্রপাড়া মোড় হতে রায়গঞ্জ বাজার ১২টি স্ট্রীট লাইন স্থাপন, ১লাখ ৫৪হাজার ৮৪০টাকা মূল্যে বেলতলী কবরস্থানে ২টি লাইট স্থাপন, ৫লাখ ৮২হাজার ৮৪০টাকা মূল্যে গাজীপুর থেকে ডৌহাখলা বাজার রাস্তায় ৭টি স্ট্রীট লাইন স্থাপন, ১লাখ ৯৮হাজার ৭৩০টাকা মূল্যে ১টি লাইট স্থাপন করা হয় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসে, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে, কালীপুর বাজার জামে মসজিদে। একই অর্থবৎসরে দ্বিতীয়ধাপে অনুরূপভাবে ১৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয় ৫১ লাখ ৬২হাজার ১৭০টাকা। এ দু’কর্মকর্তার অনুমোদনে ২০১৮-২০১৯ কাবিটা ১ম ধাপে ৭৭হাজার ৪২০টাকা মূল্য দেখিয়ে কলতাপাড়া থেকে তাঁতকুড়া সড়কে ২০টি লাইট স্থাপনে ১৫লাখ ৪৮হাজার ৪শ টাকা, তাঁতকুড়া বাজার থেকে গৌরীপুর বাজার সড়কে ২০টি লাইট স্থাপনে ১৫লাখ ৪৮হাজার ৪শ টাকা, গৌরীপুর থেকে শ্যামগঞ্জ সড়কে ২০টি লাইট স্থাপনে ১৫লাখ ৪৮হাজার ৪শ টাকা, শাহগঞ্জ থেকে পাছার বাজারে ১০টি লাইট স্থাপনে ৭লাখ ৭৪হাজার ২শ টাকা, সহনাটির বঙ্গবন্ধু বাজারে ৩টি লাইটে ২লাখ ৪৫হাজার টাকা, ২য় ধাপে ৭৭হাজার ৪২০টাকা মূল্য দেখিয়ে গৌরীপুর হতে শ্যামগঞ্জ সড়কে ২৮টি স্ট্রিক লাইটে ২১লাখ ৬৭হাজার ৭৬০টাকা, ডেঙ্গা থেকে মনাটি সড়কে ১০টি লাইটের জন্য ৭লাখ ৭৪হাজার ২শ টাকা, মনাটি হতে বালিজুড়ি হয়ে হাসনপুর সড়কে ১০টি লাইটের জন্য ৭লাখ ৭৪হাজার ২শ টাকা, গৌরীপুর থেকে রামগোপালপুর সড়কে ৮টি লাইটের জন্য ৬লাখ ১৯হাজার ৩৬০টাকা, ডাউকি মোড়ে ১টি, জামিয়া রহমানিয়া দারুল উলুম মাদরাসার রাস্তায় ২টি, দামগাঁও মোড়ে ১টি, দামগাঁও মোড়ে ১টি, পূর্ব শালিহর মাদরাসার সামনে ১টি, ১লাখ ৩৪হাজার ৬১০টাকা মূল্যের সোলার প্যানেল দেয়া হয় মনাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে, বালিজুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে, বালিজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে, শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে, ভূটিয়ারকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে, মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও ১লাখ ৫৪হাজার ৮৪০টাকা মূল্যের একটি সোলার প্যানেল দেয়া হয় গাঁওরামগোপালপুর রাহমানিয়া মাদরাসায়।
২০১৯-২০২০ অর্থবছর কাবিটা ১ম ধাপের ৫২টি ও ২য় ধাপের ৬৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর ও তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সোহেল রানা পাপ্পু। সোহেল রানা পাপ্পু বলেন, প্রকল্প তৈরি করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সেই তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত কোম্পানী সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে। বাজার মূল্যের চেয়ে প্রত্যেকেটি সোলারে উচ্চমূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের নির্ধারিত কোম্পানী ও প্যাকেজের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হয়েছে। আমরা তদারকি করেছি। সর্বোচ্চ ভালো প্যাকেজ দেখে ও মান দেখে প্রকল্পের কাজ করেছি। এগুলো মেরামতের জন্য পরবর্তীতে আমাদের নিকট কোনো বরাদ্দ ছিলো না।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৭৭হাজার ৪২০টাকা মূল্যে রামগোপালপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে, রামগোাপালপুর ইউপি ভবনের সামনে, কেরামতিয়া মসজিদের সামনে ২টি, ফতেপুর জনতা বাজারে, জামিয়া রাহমানিয়া দারুর উলুম মাদরাসা, রামগোপালপুর শ্মশানঘাট, কান্দুলিয়া দয়ালের মোড়ে, ধুরুয়া আগপাড়া চৌরাস্তার মোড়ে, ডাউকি মোড়ে, হিরসনখিলা মসিজদের সামনে, বিশ্বনাথপুর কাজি বাড়ির মোড়ে, পুম্বাইল মোড়ে, ডৌহাখলা হাসপাতালের সামনে, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, সিংজানী কপালীপাড়া জামে মসিজদের সামনে, চর ঘোড়ামারা চৌরাস্তা মোড়ে, চর ঘোড়ামারা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনে, কলতাপাড়া বাজারে বিসমিল্লাহ স’মিলের সামনে, ডৌহাখলা বিরিংকিলি মোড়ে, তাঁতকুড়া মসজিদের সামনে, ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ চৌরাস্তা, লক্ষীপুর মোড়ে, ভোলার আলগী টাইগার্স ক্লাবের মোড়ে, খোদা বক্সপুর বাবখালী মোড়ে, বেপারী বাড়ি মোড়ে, গোদারা ঘাটে, বারুয়ামারী মধ্যপাড়া বায়তুন আমান জামে মসজিদের সামনে, কাউরাট শ্মশানের সামনে, শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, পশ্চিম মইলাকান্দা চার রাস্তার মোড়ে, পূর্ব কাউরাট আকবর আলী দাখিল মাদরাসা, শ্যামগঞ্জ বাজার বড় মসজিদের পূর্ব পাশে ডেঙ্গা মোড়ে, কুল্লাতলী মাদরাসার সামনে, লামাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, শ্যামগঞ্জ খাদ্য গুদামের সামনে ২টি, গজন্দর পূর্বপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে, ৯৩হাজার ৮শ টাকা মূল্যের ১টি স্ট্রিকবাতি শাহবাজপুর দারুল উলুম মাদরাসায়, ৪০হাজার ৬৭০টাকা মূল্যে বোকাইনগরের হাতেম আলীর পুত্র মো. মামুন অর রশীদকে ৪০হাজার ৬৭০টাকা, একই মূল্যে গড়পাড়ার মো. আইনুদ্দিনের পুত্র মো. নুরুল হককে, ভাংনামারীর পশ্চিম ভাটিপাড়া মো. হিমেল মিয়াকে, রামগোপালপুরের বিশ্বনাথপুরের শাহ আলমকে, ১৭হাজার ৫শ টাকা মূল্যের চল্লিশা কাউরাটের আবু সিদ্দিকের পুত্র নুর মোহাম্মদ, সূর্যকোনা গুঞ্জর আলীর পুত্র ওয়াসিম মিয়াকে, গাগলার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র হাবিবুর রহমান, অচিন্তপুরের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র মো. জহিরুল ইসলাম, ফুলবাড়িয়ার মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র মো. আবুল কাসেম, মেসিডেঙ্গীর মো. আব্দুল মালেকের পুত্র নাগিদ হাসান সাগরকে, পশ্মিচ কাউরাটের আব্দুল হাই মুনশির পুত্র কাইসার আহমেদ কাইঊমকে, ইছুলিয়ার ইয়াদ খান পাথানের পুত্র মেহেদি হাসান খান, গাভীশিমুলের আলাল মিয়ার পুত্র রাসেল মাহমুদ, মধ্য ভালুকার জয়নাল আবেদিনের পুত্র নাহিদ হাসান সোহাগ, খান্দারের মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র আব্দুল আলী, তারাপুর জামে মসজিদ, ভিটারপাড়া জামে নতুন মসজিদ, বাঘবের তাওয়া মাদরাসা, তেলিহাটি আতকাপাড়া মাদরাসা, মানিকদির নিলুফা খাতুন মহিলা মাদরাসা, বাসাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, মানিকদির নুরুল হকের পুত্র মো. আনোয়ার হোসেন, নগুয়ার মৃত শাহেদ আলীর পুত্র শহিদুল্লাহ, বাইরাউড়ার মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র নুরুজ্জামান, ১লাখ ৮হাজার ৭৮০টাকা মূল্যে কলতাপাড়ার আবুল হাশিমের পুত্র মো. সানাউল হককে ১টি, তেলিহাটির মোজাম্মেল হকের পুত্র মো. মোশারফ হোসেন সুমনকে ১টি, ১লাখ ২০হাজার ৮৯০টাকা মূল্যের শ্রীধরপুরের মৃত শহর আলীর পুত্র গিয়াস উদ্দিনকে ১টি সোলার প্যানেল প্রদান করা হয়।
একই অর্থবৎসরের টিআর ১ম ধাপের ৬০টি ও ২য় ধাপে অনুমোদিত হয় ৫৬টি প্রকল্প। প্রকল্পের মধ্যে ছিলো ১লাখ ৯৮ হাজার ৭৩০টাকা মূল্যে গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে ১টি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের সামনে ১টি, এমপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ১টি, প্রত্যেকটি স্ট্রিট লাইটের মূল্য ৭৭হাজার ৪২০টাকা দামে পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কবরাস্থানে ২টি, আনসার ভিডিডি অফিসের পিছনে ১টি, বাগানবাড়ি মৃত্যুঞ্জয় সরকারের বাড়ির সামনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে, পৌরসভার কবরাস্থানে ২টি, পৌরসভার ডাকবাংলায়, অফিসার্স ক্লাবে, মনাটি পূর্বপাড়া আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশে, সিধরা চারআনি চৌরাস্তা মোড়ে, তাত্রাকান্দা বাসার সাহেবের বাড়ির পাশে, বারআনি কবরস্থানে, তাত্রাকান্দা মাদরাসায়, বালিয়াপাড়া দক্ষিনপাড়া মসজিদে, মনাটি দরিপাড়া জামে মসজিদে, মনাটি হাফেজ মেম্বারের বাড়ির পাশের মসজিদে, মনাটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে, মানিয়ারকান্দা মৌলভী বাড়ির মসজিদে, বেড়া মাজারে, বারআনি বড়দীঘির পাশে, বেড়া কাশেম মাস্টারের বাড়ির পাশে, বেড়া বাবুল মাস্টারের বাড়ির পাশে, বেলতলি হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে, চরপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে, বেলতলি চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তায় ২টি, নাহড়া বোর্ড বাজার রাস্তায় তারাপুর রাস্তার মোড়ে, ১লাখ ৩৪হাজার ৬১০টাকা মূল্যে ১টি সোলার পান বেলতলির আব্দুল হেকিমের পুত্র উজ্জল মিয়াকে, আবেদ আলীর কন্যা রাহেলাকে, রমজান খাঁ’র পুত্র রুহুল আমিনকে, আনির উদ্দিনের পুত্র কামাল মিয়াকে, মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র মিজানুর রহমানকে ও মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র মমিনুর রহমানকে ১লাখ ৯৮হাজার ৭৩০টাকা ১টি সোলার, গড়পাড়ার মহিবুর রহমানের পুত্র সুহেল মিয়াকে ১৮হাজার ৪২৮টাকা, মো. নবাব উদ্দিনের পুত্র মো. সানাউল হাসান খান পাঠান ১৭হাজার ৫শ, একই মূল্যে নাহড়ার আবুল কাসেমের পুত্র হাদিস মিয়া, গড়পাড়ার মো. আব্দুল হামিদের পুত্র মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. আব্দুল হামিদের পুত্র সোহেল রানা, আমজাদ হোসনের পুত্র মো. কামাল হোসেন, মোসলেম উদ্দিনের পুত্র রুবেল হাসান, ধারাকান্দির মৃত আবুছানের পুত্র বাচ্চু মিয়া, পূর্বদাপুনিয়ার আব্দুর রাজ্জকের পুত্র মো. দেলোয়ার হোসেন, আছিস উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহমান, নতুনবাজারের নুরুল ইসলামের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত, কালিপুর মধ্যম তরফের মো. আব্দুস সালামের পুত্র উয়সাল আহম্মেদ, মৃত জনাব আলীর পুত্র মো. আব্দুস সাত্তার, বালুয়াপাড়ার নারায়ন চন্দ্র সরকারের পুত্র উজ্জল কুমার সরকার, সরকারপাড়ার জালাল উদ্দিনের পুত্র কালাম, কোনাপাড়ার আবু সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র সাজাহান, মাঝিপাড়ার বিপিন চন্দ্র সাহার পুত্র বিমল চন্দ্র সাহা, পশ্চিমদাপুনিয়ার মৃত মাসুদ আলীর স্ত্রী মেহেরজান, চকপাড়ার সিরাজুল ইসলামের পুত্র আশরাফুল আলম রিয়াদ, নতুন বাজারের শামীম মিয়ার পুত্র এইচ এম শাকিল ইসলাম, গুজিখাাঁর মো. নজরুল ইসলামের পুত্র মো. নাজমুল ইসলামকে ১টি সোলার প্যানেল দেয়া হয়।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১