ট্রেনের অপেক্ষারত কবির কল্পনার
রাজ্য থেকে।
আহ্ কি দারুণ তোমার ছন্দময় বুলি।
মুক্তো ঝরায় যে হাঁসি সে ঠোঁটের
কোণায় লুকিয়ে তোমার ঐশ্বরিকতা।
শাড়ির আঁচল জুড়ে তোমার কারুকার্যময় নিরবতা।
তোমার সিগ্ধতায় হিমশীতল শিহরণ জাগায় বটে।
তোমায় দেখে কবির এক হিমালয় সমান দীর্ঘ শ্বাস অনুভূতি।
তোমার চোখের কোণায় লুকিয়ে থাকা কাজল যেন এক ভয়ংকর অমাবস্যা।
কবি এখানে নিদারুণ কষ্টে হারিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে।
মাঘের হিমশীতল শিহরণে অতিষ্ঠ
কবির জীবন বিপর্যস্ত ময় মূহুর্তে তোমাকে খুঁজে।
কালো শাড়ি নীল চুড়ি কপালময় লাল টিপ
তোমাতে শুভা পায়।
শীতের কুয়াশামাখা বিকেলে হঠাৎ মৃদু হাওয়ায়
এলোমেলো তোমার কেশময়।
কবি তখন হারিয়ে যায় নান্দনিকতায় ভরা
জনমানবহীন রুপকথা ময় রাজ্যে।
কবির ভাবনায় এখনো বাকি এক বিকেল
তোমাকে নিয়ে হাঁটা।
চঞ্চলতায় ভরা কবির মন হঠাৎ খানিকটা নীরবতায় ভর।
ঝিমধরা কবির মাথায় তোমার শূন্যতা
মারিয়ানা ট্রেঞ্চের মতো গভীর হচ্ছে।
মহাকাশ সমান বিশালতা নিয়ে কবির
প্রতীক্ষাময় সময় দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চারপাশ ময় নিকোটিনের ধোয়া
কবির কাল্পনার রাজ্যে প্রভাবিত করছে।
শুনছো তুমি সময় খুব একটা নেই
কল্পনাময় কবির রাজ্য ত্যাগের।
তুমি এসো বাস্তবতায় কবির শূন্যতা ভরা বিয়োগ
ব্যাথার সমাপ্তিতে।
হঠাৎ ট্রেনের হর্ন এই বুঝি শেষ হলো
কবির কল্পনার রাজ্য ত্যাগের।