আজ শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
গৌরীপুর গণপাঠাগারের উদ্যোগে রবীন্দ্রস্মরণ গৌরীপুরে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন গৌরীপুরে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ তারাকান্দা যুবদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল তারাকান্দায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের অর্থ সহায়তা গৌরীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের স্মারকলিপি তারাকান্দায় বাট্টাভাটপাড়া এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা গৌরীপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থী হলেন যাঁরা তারাকান্দায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা বাড়ছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আশরাফ তুঙ্গে
রনবীর রায় রাজ || জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম৷
  • প্রকাশিত সময় : জুলাই, ৩০, ২০২২, ১:০৪ অপরাহ্ণ




৩০ লাখ টাকার সেতুটি এখন ‘গলার কাঁটা’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনীরাম ও পশ্চিম ধনীরাম গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল একটি সেতুর। পরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তাদের স্বপ্নের সেতুটি নির্মিত হলেও উদ্বোধনের মাত্র তিন মাস না যেতেই ভেঙে পড়ে। এতে আবারও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পূর্ব ধনীরাম গ্রামের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আশপাশের ছয়টি গ্রামের মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ড্রামের ভেলায় যাতায়াত করছে শত শত মানুষ।

সেতুটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৮০টি পরিবারসহ ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। নিরুপায় হয়ে স্কুলগামী শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধরা ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়দের চাঁদায় গড়া ড্রামের ভেলায় পারাপার হচ্ছে দীর্ঘ চার বছর থেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনীরাম গ্রামে তৈরি হয় সেতুটি। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ ফুট। কিন্তু সেতুটি উদ্বোধনের মাত্র তিন যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত চার বছর ধরে ভেঙে পড়া সেতুটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক বার পরিদর্শন করা হলেও সেতুটি পুনরায় সংস্কার কিংবা নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে নিরুপায় হয়ে যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী অর্থ সংগ্রহ করে একটি ড্রামের ভেলা তৈরি করেন। এই ভেলাতেই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে এখানকার মানুষজন। দুর্ঘটনার শিকারও হন অনেকে। বিশেষ করে এখানকার কেউ অসুস্থ হলে চরম বেকায়দায় পড়তে হয়।

পূর্ব ধনীরাম গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, এই সেতুটি নির্মাণ করার মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ে আছে। দেখার যেন কেউ নেই। খুব কষ্ট করে চলাচল করছি আমরা। আমাদের এখানে কেউ কথা বলার মতো মানুষ নেই, যার কারণে এতো কষ্ট আমাদের। সেতু নেই, এখানকার রাস্তার অবস্থাও ভয়াবহ খারাপ। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সময় মতো হাসপাতালে নিতে পারি না।

ওই এলাকার মরিয়ম বেগম বলেন, সেতুটি হওয়ার কিছু দিন পড়েই ভেঙে গেছে। যার কারণে এখানকার মানুষের খুব সমস্যা। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল-মাদরাসায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। যেকোনো সময় পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।

রমিছা বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ব্রিজটি হওয়ার পর এক মৌসুমও চলতে পারি নাই, তাতেই ভাইঙ্গা-চুইড়া পড়ে আছে। খুব একটা সমস্যাত পড়ছি আমরা।’

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম এলাকার সেতুটি নির্মাণের তিন মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। এতে করে সেতুটি জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকসই পরিকল্পনা না নেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন পরবর্তীতে টিকসই পরিকল্পনা করে যেন সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, ওই এলাকায় নতুন করে সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে সেখানে সেতু হবে, না পেলে হবে না।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১