রফিক বিশ্বাস, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) থেকেঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পূর্ব মালিডাঙ্গা গ্রামের হাসিম উদ্দিন খানের লাশ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য দীর্ঘ ৩ মাস ৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা গেছে, তারাকান্দা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিনা আক্তার এর উপস্থিতিতে শতশত জনতার সামনে মৃত হাসিম উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার কবর থেকে উত্তোলন করে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, এসআই খন্দকার আল মামুন।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্ধের জেরে বিগত ২৬ জুলাই রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় হামলার শিকার হন হাসিম উদ্দিন খান (৪০)।হামলার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন হাসিম উদ্দিন খান।
আহত হাসিম উদ্দিন খানকে আত্মীয়রা উদ্ধার করে ২৭ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫ আগষ্ট তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ/বক্ষব্যধি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তিতে ৬ দিন চিকিৎসার পর ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে। সেখানেই ১৩ আগষ্ট মৃত্যু হয় হাসিম উদ্দিন খানের ।
এ ব্যাপারে তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ অবুল খায়ের জানান, আমরা করোনা আক্রান্ত হবার মধ্য দিয়ে হাসিম উদ্দিন খানের মৃত্যু হয়েছে এমন রিপোর্ট দেখেই দাফনের ব্যবস্থা করি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলা দায়ের সহ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছি।
এ ব্যাপারে মৃতের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (৩০)এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্বামী আদৌ করোনা রোগী নয়। খোকন মিয়া গং এই হত্যার জন্য দায়ী। তাই আমি বাদি হয়ে ৩৭৯/৩২৬/৩০২/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় পূর্ব মালিডাঙ্গা গ্রামের আমার দেবর ১. খোকন মিয়া(৩৫) ২.রুকন খান (৩০) , শশুর- ৩.জসিম উদ্দিন খান(৬০) ৪.দেবরের স্ত্রী- নুপুর বেগম (৩০) ৫.কোতোয়ালী থানার চর বরবিলা গ্রামের রাসেল মিয়া (৩০) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছি আদালতে। আদালতের নির্দেশেই মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করা হয়।
টি.কে ওয়েভ-ইন