জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য জয়পুরহাটে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে গঠিত পৃথক ৩টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে জেলার ৩২টি ইউনিয়নে চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা গ্রামাঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
মরণব্যাধি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ নিজ ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিকট থেকে তাৎক্ষণিক মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে রোগীরা। এতে রোগী ও তার স্বজনরা বেশ খুশি ও অনেকটাই দুচিন্তামুক্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা এমবিবিএস চিকিৎসক, স্যাকমো ও ইউনিয়নের সহকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করেন। এই মেডিকেল টিম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের (মেম্বার) সহযোগিতায় প্রতিদিন জেলার তিনটি করে ইউনিয়নে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিভিন্ন রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ দিনে জেলার ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলার মামুদপুর, বড়তারা, মাত্রাই, পুনট ও জিন্দারপুর ইউনিয়নে মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করে। চিকিৎসাসেবা চলাকালে ওই সব এলাকায় প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এমনি অবস্থায় নিজ ইউনিয়নে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার খবর শুনে এই ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের চিকিৎসকদের কাছে ছুটে আসছেন রোগী ও তার স্বজনরা।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, ‘করোনার প্রভাবে জেলার পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নির্দেশনায় ৩টি পৃথক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা এ সব টিমের মাধ্যমে জেলার পাঁচ উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছি। নিজেদের গ্রামে বসে এমন মানসম্মত বিশেষ চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষ অনেক খুশি।’