ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর অধীনে গৌরীপুরে এক মৃত গ্রাহকের নামে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একই অফিসে মাত্র ১৮০ টাকা বকেয়ার জন্য কাঞ্চন মিয়া নামে অপর এক গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুনঃসংযোগ ফি ধার্য করা হয়েছে ৮৮৫ টাকা।
উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পল্লীপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে কাঞ্চন মিয়া জানান, তিনি পল্লী বিদ্যুতের নিয়মিত গ্রাহক। তার ১৮০ টাকা বিল বকেয়া ছিল। ধান কাটা শুরু হয়েছে, তাই গত মাসে বিল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, ১০ মিনিট সময়ও দেওয়া হয়নি। এখন লাইন পুনঃসংযোগের জন্য ৮৮৫ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই অবস্থা হয়েছে পল্লীপাড়ার মো. রুবেল মিয়া, সুরুজ মিয়া ও মো. চান মিয়ার ক্ষেত্রেও। এছাড়া ওই গ্রামের ১৯ জনের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিনা নোটিশে। অপরদিকে মৃত দাদার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে গৌরীপুর সাব-বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছেন নাতি ফাহিম হাসান।
মাওহা ইউনিয়নের স্বল্প নহাটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ফাহিম হাসান জানান, তার দাদা আব্দুল হেকিম মারা গেছেন সাত বছর আগে। দাদার নামের সে মিটারটি বর্তমানে তার চাচা হামিদুর রহমান ব্যবহার করছেন। অথচ মৃত মানুষের নামেই দেওয়া হয়েছে ‘উকিল নোটিশ’।
ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর আইন উপদেষ্টা ও ময়মনসিংহ জজকোর্টের অ্যাডভোকেট পরিমল চন্দ্র সরকারের সিলযুক্ত উকিল নোটিশটি প্রদান করা হয় গত ২৯ এপ্রিল। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বকেয়া এক হাজার ৭২ টাকা ২০ মে’র মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা জানান, মৃত গ্রাহকের নামে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া উচিত হয়নি। মৃত মানুষ তো আর বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন না। লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল। এ বিল যিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বা তার ওয়ারিশরা পরিশোধ করবেন। তাদের নামে দিলেই হতো।
তিনি আরও বলেন, এক টাকাও বকেয়া, লাখ টাকাও বকেয়া। বকেয়া থাকলে লাইন বিচ্ছিন্ন হবে। এতে কোনো কিছু করার নেই।