ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামানের মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ ক্রমেই বেড়ে চলছে। তার পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলে বৃহ¯প্রতিবার ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে অসহায়, ছিন্নমূল, পথশিশু ও ভাসমান প্রায় শতাধিক মানুষদের কাছে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। করোনাযুদ্ধকালীন সময়ে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ, রান্না করা খাবার পৌছে দিয়ে তিনি জেলাব্যাপী মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে আলোচনায় শীর্ষে চলে আসেন।
এর আগে পুলিশ সুপার করোনার মহামারিতে জেলা পুলিশ নিজেদের অর্থায়নে সমাজের নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবি কর্মহীন, বেকার হয়ে পড়া, দিন এনে দিন খাওয়া অসহায় প্রায় ৬ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন।
বস্তিবাসী, অসহায়, অস্বচ্ছল, দিন এনে দিন খাওয়া, কর্মহীন, শ্রমিক, বেদে পরিবার, নাপিত, নৌকা মাঝি, খুঁজে খুঁজে তালিকা করে তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা করে একজন মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এছাড়াও লকডাউনে বিভাগীয় নগরীতে না খেয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকা ভাসমানদের আহার যুগিয়েছেন এই পুলিশ সুপার। রান্না করা খাবারের প্যাকেট নিয়ে শহরে ঘুরে ঘুরে ভাসমান না খাওয়া মানুষের পেটে নিয়মিত আহার তুলে দিয়েছেন।
অপরদিকে মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের সভানেত্রী কানিজ আহমার ভাসমান পথ শিশুদের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় বিতরণ করে আলোচনায় আসেন। এর আগে পুলিশ সুপার পতœী শতিকালে বস্ত্র বিতরণ করেন।
এই মানবিক পুলিশ সুপার তার পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলে বৃহ¯প্রতিবার ২৮ মে, ময়মনসিংহ নগরী ঘুরে ঘুরে অসহায়, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষদের কাছে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ একাধিক টিম গঠন করে এই সব রান্না করা খাকার প্যাকেট করে নগরীর বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুরে অসহায়, ছিন্নমূল, পশশিশু ও ভাসমান প্রায় শতাধিক মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। করোনার কারণে প্রায় সব কিছু বন্ধ এবং টানা বৃষ্টিতে একেবারে অসহায় হয়ে পড়া এ সকল ভাসমনা, পথশিশু ও ছিন্নমূলরা রান্না করা খাবার হাতে পেয়ে দুহাত ভরে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন।