শিমুল বকুল পলাশের ডালে, জোছনার পাতার,
প্রস্ফুটিত ফুলকলিরা মেতেছে হেসে।
জননী গো আমায় বলোনা যেতে,
দূর-দূরান্তের, ঐ সুদূর প্রবাসের দেশে।
ফুলে ফলে ভরা, রংধনুর রংয়ে সাজানো,
সাত সাগর তেরো নদীর, এমন দেশটি ছেড়ে।
কি করে যাবো, বলো গো মা,
মমত্ব হীন,ওই যন্ত্রণার কারাগারে।
শিখর হিমাদ্রির ঝর্ণাধারা, ডাকছে করুন সুরে,
নির্জন লগনে এসো গো প্রিয়ে, ভরাবো হৃদয় নেচে।
শতো প্রেমের উর্মি ধারায়, হৃদয় আছে যে ভরে,
কেমনে যাবো বৈদেশেতে, পৈতৃক বিটা বেছে।
যে মৃত্তিকার চির মমতায়, আমায় করেছে গ্রাস,
সে মৃত্তিকায় শুয়ে আছে, আমার জন্মদাতার লাশ।
মৃত্যুক্ষুধায় দেখবো মাগো,তোমারি সিক্ত বদন,
কেমনে যাবো,ওই অনর্থে বনবাসে।
কালানুক্রমিক অতীত কাহিনীতে, ব্যঞ্জিত কতো কারাবাস,
আরো শত শত স্বর্ণালী প্রবাসীর বিলাস।
পিতৃস্বত্ব পালনে যেমন রামচন্দ্র গিয়েছিলেন চৌদ্দ বছরের বনবাসে,
আজকের রামচন্দ্ররা যায়,কোন সে কারাবাসে।
জীবে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে,পেশা পেশা আর পেশা চাই,
পেশা ছাড়া যেন, অভিধানে অন্য কিছুর ঠাঁই নাই।
দেখোনা নীল আকাশ, প্রচন্ড বৈশাখী ঝড়,
নিজ প্রয়োজনে যেন, হতে হবে বড় স্বার্থপর।
পিতৃস্বত্ত্ব পালনে পঞ্চবটী বন,আজকের নয়ারুপ ওয়াশিংটন,
ধর্ম কর্ম অর্থ মুভস্ জয়টীকা,মা বাবাকে ছেড়ে সোজা আমেরিকা।
প্রতিনিয়ত মাটি চাপা পড়ে যায়, বুকের হাজারো লালিত স্বপ্ন,
এইতো হলো এযুগের, রামচন্দ্রদের বাস্তবতা রূপরেখা।