আজ শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব-ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ৫, ২০২২, ৫:২৮ অপরাহ্ণ




মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে খুলনার মেয়ে মীম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম। লিখিত পরীক্ষায় সুমাইয়া মোসলেম মীম ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। তার মোট নম্বর ২৯২ দশমিক ৫।

মীমের বাবা খুলনার ডুমুরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন সরদার। মা কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট খাদিজা খাতুন।

খুলনার ডুমুরিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।

গ্রামের মেয়ে দেশের সেরা হওয়ায় অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছে পুরো পরিবার।

ফলাফল ঘোষণার পর বাবা-মাসহ মীম তার কোচিং সেন্টার ডিএমসি স্কলার মেডিকেলে হাজির হন। সেখানে মীমের সহপাঠী ও কোচিংয়ের শিক্ষকসহ অন্যরা তাদের অভিনন্দন জানান।

সুমাইয়া মোসলেম মীম বলেন, ‘এত বেশি প্রত্যাশা ছিলো না। তারপরও দেশসেরা হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমার ফলাফলের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে আমার বাবা-মা। বিশেষ করে প্রতিদিন কেশবপুরে যাওয়া-আসা করা মায়ের জন্য ছিলো খুবই কষ্টের। আমার জন্য এই কষ্ট তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। ফলাফল পেয়ে তাদের মুখের হাসিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’

মীম বলেন, ‘ছোটবেলায় চিকিৎসক হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলো না। শুধু আম্মুর ইচ্ছার জন্যই মেডিকেলের পড়াশোনা করেছি। এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি এটাই সবচেয়ে ভালো লাগার জায়গা।’

আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মীম বলেন, ‘বুঝে পড়াশোনা করতে হবে। সবাই ভাবে মুখস্থ করতে হবে। কিন্তু না, যা পড়ছো সেই বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে হবে। মুখস্ত করলে পরদিন ভুলে যেতে পারো। কিন্তু বুঝে পড়লে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়। কোচিংয়ের অনেক পরীক্ষায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারতাম না। তারপরও বুঝে পড়ার কারণে ফলাফল ভালো হতো।’

ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে মীম বলেন, ‘সবার আগে ভালো মানুষ হতে চাই। এরপর একজন ভালো চিকিৎসক হতে চাই। আমাদের সমাজের মানুষের একটা খারাপ ধারণা রয়েছে, চিকিৎসক মানেই কসাই। এই ধারণা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

মীমের মা বলেন, ‘আমার জীবনে একটাই চাওয়া ছিলো আমার মেয়ে বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। সেই চাওয়া এখন পূরণ হতে চলেছে। ভাবতে পারিনি এতো ভালো ফলাফল করবে।’

মীমের বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার বলেন, ‘গ্রাম থেকে লেখাপড়া করে এতো ভালো করবে এটা ভাবতেই পারিনি। অনেক আনন্দ লাগছে, আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। মীমের মা সারাদিন চাকরি করে প্রায় সাররাত ওর পাশে জেগে বসে থাকতো। এতোদিনের কষ্টের শেষে ওদের আনন্দেই আমার বুক ভরে যাচ্ছে ‘




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০