মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের আবু সালেহ মো. নাসিম (জামাল)। তিনি উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ধারাকান্দি গ্রামের মৃত সাহেদ আলী ও মোছা. সালেমা খাতুন দম্পতির সন্তান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বড় ভাই গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১০টা ২৫মিনিটে মালয়েশিয়ার টেংকু এমপুরান রাহিম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে—- রাজিউন)। মৃত্যুর দু’দিন আগে তার করোনা নেগেটিভ আসে। করোনা ইউনিট থেকে থাকে স্থানান্তর করার পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় তার কিডনী, হার্ট ও ফুলফুসে ডেমেজ হয়ে গেছে।
প্রায় ১০বছর পূর্বে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সে দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। রেমিটেন্সযোদ্ধা নাসিম ২০১৬ সালে একবার দেশে আসেন। সেবছর নাসরিন আক্তারের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে রয়েছে ৩বছরের শিশু কন্যা নোভা। আবারও নিজ কর্মস্থলে ছুটে যান।
আবুল সালেহ মো. নাছিম ১৯৯৭সালে শাহগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ১৯৯৯সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় এইচএসসি উর্ত্তীণ হন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) পাস করেন। তিনি দীর্ঘদিন কালীপুর মধ্যম তরফে ফার্মেসী দিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন। তিনি তার বাবার ৮ম সন্তানের মধ্যে ৭ম সন্তান। তার বড় ভাই ফজলুল হক ১ জুলাই বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মারা যান। একমাসের ব্যবধানে দু’সন্তানের মৃত্যুতে পুরো পরিবারে চলছে মাতম।
গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস জানান, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ওর লাশে দেশে আনার জন্য আবেদন করেছিলাম। প্রয়োজনে আমরা স্পেশাল ইয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনারও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান শাখা আমাদের কোনো প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সবার কাছে ভাইয়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।