আজ শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ৪, ২০২০, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ




পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর ১৫ দিন সময় রেখে এইচএসসির সময়সূচি

বাহাদুর ডেস্ক :

এপ্রিলের শুরু থেকে এইচএসসি ও সমামানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, এমন পরিকল্পনা নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২২ মার্চ ঘোষণা দিয়েই এই পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়া হয়। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল, এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এইচএসসির পরিবর্তিত সময়সূচি জানানো হবে। তবে চলতি মাসে এই সময় নির্ধারণ করার কোন পরিকল্পনাও নেই মন্ত্রণালয়ের।

পরীক্ষা স্থগিতের কারণে পরীক্ষার্থীদের পরিকল্পনায় ভাটা পড়ে। আর পরীক্ষার এ অনিশ্চয়তার কারণে উদ্বিগ্ন অভিভাবক-পরীক্ষার্থী। চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে শুরু হবে রমজান মাস। রমজানে পরীক্ষাও সম্ভব নয়। ফলে এই পরীক্ষা আয়োজন কবে গিয়ে ঠেকবে তা কেউ বলতে পারছে না। ফলে পরীক্ষা শুরু না হতেই হোঁচট খেয়েছে সারাদেশের এইচএসসি ও সমমানের ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।

এই পরীক্ষার ওপর নির্ভর করেই দেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলবে। চার-পাচটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা গুচ্ছভিত্তিক হবার কথা রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমও পিছিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না এই শিক্ষার্থীরা। সব মিলে নানা চিন্তা ভর করছে এসব শিক্ষার্থীর মনে।

মনিপুর স্কুলের রিমা নামে এক পরীক্ষার্থী জানায়, পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন পড়ায় মন বসছে না। এ কারণে আবার সব ভুলতে বসেছি। কি হবে, কবে পরীক্ষা দিতে পারবো এ নিয়ে নানা শংকায় আছি। আরিফুল ইসলাম নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সন্তানের পরীক্ষা নিয়ে অনেক চিন্তায় রয়েছি। এই সঙ্কট কাটিয়ে কবে আবারও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে, আর কবেই বা পরীক্ষা নেয়া হবে এসব বিষয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছি।

আসমা খানম নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, করোনার কারণে কোচিং বন্ধ, প্রাইভেট টিউটরকেও আসতে বারণ করে দিয়েছি। ফলে লেখাপড়া হচ্ছে না। নানা টেনশন নিয়ে সময় পার করছে পরীক্ষার্থীরা। তিনি জানান, সারা বিশ্বের করোনার ভয়াবহ খবর টিভি এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ভাসছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সংবাদ শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এসব খবর শুনে মানসিক চাপেও আছে পরীক্ষার্থীরা।

জাকির হোসেন নামে এক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার্থীদের আপাতত টিভি ও সোস্যাল মিডিয়ার খবর দেখার প্রয়োজন নেই। অভিভাবকদের উচিত তার সন্তানকে এই ধরণের খবর না শুনতে ও পড়তে দেয়া। এতে শিক্ষাথীদের মনে নানা ধরণের হতাশা ভর করে। ভয় ভীতি তৈরি হয়। তাই এ বিষয়টি অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উচিত পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন বইগুলো রিভিশন দেওয়া। আগামী ১০দিন পর পরীক্ষা শুরু হবে এই ভাবনা নিয়ে পড়াশোনা করলে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থির ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। তবে আগামী এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতির বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারনা পাওয়া যাবে। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। হাতে ১৪ থেকে ১৫ দিন সময় রেখে সূচি প্রনয়ণ করা হবে।

টি.কে ওয়েভ-ইন




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০