প্রধান প্রতিবেদক :
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা গৌরীপুর বিদ্যুৎ অফিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হাবিবুর রহমান হবি (৪৮) শুক্রবার রাত ৯ টা ৫০মিনিটে মারা যান। তিনি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাঁতকুড়া গ্রামের মৃত সমশের আলীর পুত্র।
শনিবার (২৫ জুলাই/২০২০) সকাল ১১টায় তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জানাযার নামাজ শেষ পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন হয়। মৃত্যুকালে মা, স্ত্রী, একপুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা যায়, গত ১৭জুলাই বিউবো’র গৌরীপুর বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের কন্ট্রোরুমে ৩৩হাজার কেভি থেকে ১১হাজার কেভিতে ট্রান্সফার করার জন্য ফিডবক্সে কাজ করার সময় হাবিবুর রহমান হবি অগ্নিদগ্ধ হন। বেসরকারি বিদ্যুৎ কর্মী হাবিবুর রহমান হবি গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হলে তার শরীরের ৪৫% শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টা ৫০মিনিটে মৃত্যু’র বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবাসিক প্রকৌশলী নিরঞ্জন কুন্ড।
এদিকে প্রশিক্ষণ ছাড়া বিশেষজ্ঞ ব্যতিত বিদ্যুৎ কন্ট্রোলরুমের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে হবি’র মতো বেসরকারি কর্মচারীদের প্রবেশাধিকার নেই। সেটি সংরক্ষিত এলাকা। অথচ সেখানে তাকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ। তিনি বলেন, এসব কাজের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা আছে-আজীবন পরিবারের নিশ্চয়তা আছে। হবি’র কিছুই নেই। এ মৃত্যু’র দায় বিদ্যুৎ বিভাগ ও কর্মকর্তাদের নিতে হবে। হবি’র মৃত্যুর জন্য তার পরিবার-পরিজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে দেয়ার জন্য দাবীও জানান তিনি।
টি.কে ওয়েভ-ইন