আজ শুক্রবার ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : জুলাই, ১৬, ২০২১, ৮:১৬ অপরাহ্ণ




গাজীপুরে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জেএমবি সদস্য পনিরের দাফন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া সম্পন্ন

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাসি কার্যকর হওয়া জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরের লাশ পুলিশ প্রহরায় দাফন হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়িয়ার রাধাকানাই গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে ভোর ৬টায় নিজবাড়িতে নামাজে জানাযা এই দাফন সম্পন্ন হয়।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির (৩৭) এর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ ওই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করে। ফাসি কার্যকর হয় জল্লাদ শাহজাহানের হাতে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রাধাকানাই গ্রামের ও ফুলবাড়িয়া বাজারের মেইন রোডের চৌধুরী প্লাজার মালিক ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে আসাদুজ্জামান পনির।
গত ২০০৫ সালে ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বোমা বিস্ফোরণে সহযোগিতা করে আসাদুজ্জামান পনির। ওই বোমা হামলায় ৮ জন নিহত এবং আহত হয় বেশ কজন।
এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান পনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নেত্রকোনা থানায় মামলা হয়। আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্র“য়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় ২০ বছরের কারাদন্ড, কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার একটিতে ১০ বছর অন্যটিতে ২০ বছরের কারাদন্ড দেয় আদালত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ প্রহরায় পনিরের মরদেহ ফুলবাড়িয়ায় নিয়ে আসা রাত প্রায় দুইটার দিকে।
ফজলুল হক চৌধুরীর ৪ ছেলের মধ্যে পনির সবার ছোট। ফুলবাড়িয়ার আলহেরা একাডেমি স্কুল থেকে ২০০০ সনে এসএসসি পাস করে এবং ২০০২ সনে ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। স্কুল জীবন সে ক্রিকেট খেলার জড়িত ছিল তার স্কুল ও কলেজ জীবনের সহকর্মীরা জানায়। পরর্বতীতে আনন্দ মোহন কলেজে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক শ্রেনিতে পড়ালেখা শুরু করে। আনন্দ মোহন কলেজে ভর্তির পর সে নিজ এলাকার মানুষ ও বাল্য জীবনের সাথিদের সাথে যোগযোগ অনেকটা ছেড়ে দেয়। যুক্ত হয় জঙ্গি নেটওয়ার্কে। পনির ছিল আহলে হাদিস অধ্যুষিত এলাকার ছেলে।
এর আগে ময়মনসিংহে বোমা হামলা ঘটনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় পনির। স্থানীয়দের ধারণা ছিল, পনির ময়মনসিংহে বোমা হামলা করে পুনরায় ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখতে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে আটক করে পুলিশে দেয়।
পনিরের স্কুল জীবনের সহকর্মী ও ফুলবাড়িয়াবাসির অনেকের ধারণা, ফুলবাড়িয়ায় জঙ্গিদের অন্যতম জোরবাড়িয়া কাচারী এলাকার হার্বাল চিকিৎসক দিদার। ২০০৫ সালে জঙ্গি বিরোধী অভিযান টের পেয়ে দিদার পালিয়ে যায়। আজো তার খোঁজ মিলেনি। অনেকের ধারণা দিদারের হাত ধরেই পনির জঙ্গি নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছিলেন।
মেধাবী পনির চার ভাইয়ের মধ্যে ছিল সবার ছোট। ফুলবাড়িয়ায় তার সহকর্মীরা জানান, স্কুল ও কলেজ জীবনে সে ছিল অত্যন্ত মেধাবী, মিশুক ও লাজুক প্রকৃতির ছেলে। আনন্দ মোহন কলেজে ভর্তির পরই তার মাঝে পরিবর্তন দেখা যায়। শুক্রবার ভোর ৬টায় তার নিজ বাড়িতে নামাজে জানাযাশেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন জানান, থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত থেকে ভোর ৬ টা ৫ মিনিটে দাফন সম্পন্ন করে।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০