আজ শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

||
  • প্রকাশিত সময় : জুন, ২২, ২০২০, ৬:৫১ অপরাহ্ণ




কোরবানিতে ভারতীয় গরু আনবে না সরকার

বাহাদুর ডেস্ক :

এবার ঈদুল আযহার সময়ে কোরবানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না সরকার। অন্যান্য বছর কোরবানির আগে সীমান্তে ‌‌বিট খাটালের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হয়। এবার ঈদের আগে সীমান্তে ‘বিট খাটালের’ মাধ্যমে গরু আনার অনুমতি  দেয়নি সরকার।

সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায়  এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী। তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় জানানো হয়, আগামী বুধবার কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া ছড়ানো ও সংরক্ষণে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। করোনার পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে কোরবানি দেওয়া এবং চামড়া সংরক্ষণে তথ্য মন্ত্রণালয় ও লেদার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে।

বিট খাটাল হলো একটি খোয়াড়ের মতো স্থান। যেখানে ভারত থেকে আনা গরু জড়ো করা হয়। এরপর শুল্ক কর্মকর্তারা মালিকানাবিহীন দেখিয়ে গরুগুলোকে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার জন্য কাগজে–কলমে সংক্ষিপ্ত বিচার দেখানো হয়। এরপর ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাজেয়াপ্ত’ গরু মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে গরু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বৈধভাবে এটাই গরু আনার ব্যবস্থা। তবে ভারতের কাছে এ ব্যবস্থার কোনো স্বীকৃতি নেই। আগে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ গরু এভাবে এসেছে। ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সীমান্তে গরু–বাণিজ্য অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে পশু পালন বেশ বেড়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, বিগত কয়েক বছরে পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে এক কোটি ১০ লাখের মতো পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর মধ্যে গরু-মহিষ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। দেশীয় খামারিদের গরু-মহিষ দিয়েই চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে এবার পশু কোরবানি কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে চামড়া শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে ট্যানারি মালিক, আড়াতদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খাত সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ফরিয়া, মৌসুমী ও সাধারণ ক্রেতাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি শহর থেকে গ্রামে যারা গেছেন তাদের এ সুবিধা দিলে এগিয়ে আসবেন। সবাই উৎসাহিত হয়ে চামড়া কিনবেন। চামড়া কেনাবেচায় লাভ করার সুযোগ দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আকর্ষণীয় দর নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। যাতে গত বছরের মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

টি.কে ওয়েভ-ইন




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০