কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) দুই সদস্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল জানান, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সেখানে ইউসুফ ওরফে চাকমাইয়া ইউসুফ নামে একজন নিহত হয়। তিনি ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক সাব মাঝি জানান, মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা ও আরএসওর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আরএসওর ছোঁড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে গলা কেটে করে হত্যা করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে আরসার সদস্যরা বুধবার ভোরে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসওর ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরাফাত নামে আরএসওর এক সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আরাকান আরসা সদস্যরা।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক আমির জাফর। ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা জানান, চাকমাইয়া ইউসুফ আরসার কিলিং স্কোয়াডের শীর্ষ কমান্ডার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিলেন।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরসাবিরোধী অভিযান ও আরএসওর হাতে একের পর এক সদস্য নিহতের ঘটনায় দুর্বল হয়ে পড়ে আরসা। ফলে ক্যাম্পে কিলিং মিশন চালানোর জন্য চাকমাইয়া ইউসুফকে সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠায় আরসা প্রধান।