ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নে সোমবার (৮ এপ্রিল/২৪) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও স্লিপ (চাল দেয়ার কার্ড) কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ২হাজার ৪৭১জনের তালিকা অফিসে থাকলেও বিতরণ কার্যক্রমে কোনো তালিকা খোঁজে পাওয়া যায়নি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজারে সুবিধাভোগীদের দেয়া চালের মধ্যে ২৯জনের চাল ওজন করা হয়। এরমধ্যে ১৪জনের চাল ছিলো ৭ কেজি থেকে ৭ কেজি ৮শ গ্রাম, ৮জনের চাল ছিলো ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি আর ৭জনের চাল ছিলো ৯ কেজি থেকে ৯ কেজি ৪শ গ্রাম। এ দিকে চাল ওজনে কম দেয়ায় সুবিধাভোগীরা একাধিকবার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। তাদের প্রতিবাদের মুখে কম দেয়া সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল দিতে বাধ্য হন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তদারকিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কমল রায়। এ ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ২হাজার ৪৭১জনের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা ছিলো। এ ইউনিয়নের পূর্বকাউরাট গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের পুত্র মো. অন্তর মিয়া যুগান্তরকে জানান, স্লিপ হতদরিদ্র মানুষকে না দিয়ে কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা মৃত মানুষের নামও আছে। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. তাবারেক হোসেন সরকার জানান, মৃতদের নাম আছে; কি-না, এ মুর্হুতে বলতে পারছি না। ভুলক্রমে থাকতেও পারে। বিদ্যুৎ আসলে তালিকা দিবেন প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তিনি কোনো তালিকা সরবরাহ করতে পারেন নাই। বরাদ্দকারী কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সোহেল রানা পাপ্পু জানান, রাতে তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দিয়ে যাবে। রাত ৮টা ২০মিনিট পর্যন্ত এ কার্যালয় থেকেও তালিকা দেন নাই। এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বালতি দিয়ে চাল বিতরণের সময় দু’এক জনের কম হলেও অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিকভাবে সঠিক মাপে চাল হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কমল রায় জানান, চাল বিতরণে তো কম দেয়ার কোনো ঘটনা আমি দেখি নাই। আপনি যে ক’জনের দেখছেন তাদেরকে পরবর্তীতে সঠিক ওজনে চাল দেয়া হয়েছে।