নেত্রকোনার দুর্গাপুর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় আদিবাসীদের উদ্দ্যোগে শাখ-সব্জির কাচাঁ বাজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ এনেছেন আমরুল, তেলাকচুঁ। ঘ্যাটকল, কাটানটি, কলমি বা হেলেঞ্চা আবার কেউবা এসেছেন থানকুনি, বউটুনি, ব্রাহ্মি, আতাড়ি-পাতাড়ি, বেত, তিত বেগুন, কাটাকচুঁ, বনকচু, ডুমুর, কলার মোঁচা, বাঁশের কেরুল, পান সহ নানা রকমের শাক ও সবজি। স্বরজমিনে সীমান্তবর্তী তিনআলী বাজারে আদিবাসী এলাকায় মহিলাদের হাটে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। দাহাপাড়া, ভবানীপুর, গোপালপুর গ্রামের আদিবাসী মহিলারা এমন নানা রকমের কুড়িয়ে পাওয়া শাক-সবজি নিয়ে বিক্রি করতে আসেন ওই এলাকার বাজার গুলোতে। পাহাড়ী অঞ্চলের অচাষকৃত উদ্ভিদ-বৈচিত্র্য শনাক্তকরণ, শ্রেণিকরণ, সম্প্রসারণ ও ব্যবহার নিয়ে তাদের কোন ধারণা না থাকলেও দুর্গাপুর শহরের অনেকেই গ্রামের ওই বাজার থেকে শাখ-সব্জি গুলো কিনে নেন একটু বেশি দামে। ওই গ্রামের অর্ধশতাধিক আদিবাসী মহিলারা কুড়িয়ে পাওয়া শতাধিক প্রজাতির শাক-সবজি সংগ্রহ করতে চষে বেড়ান এ পাহাড় থেকে ও পাহাড়। কুড়িয়ে পাওয়া নানা প্রজাতির শাক-সবজি সংগ্রহ করতে আদিবাসীদের পাশাপাশি এখন বাঙ্গালীরাও যোগ দিয়েছেন সমান তালে। উত্তর গোপালপুর গ্রামের আদিবাসী মহিলা নিয়তি ¤্রং বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রকমের সব্জি সংগ্রহ করে থাকি। তবে অন্যান্য সব্জির মধ্যে পাহাড়ি কচুর লতির চাহিদা রয়েছে বেশ। আমরা অন্যান্য সব্জির চেয়ে এগুলো একটু বেশি দামে বিক্রি করে থাকি। এ কাচাঁ বাজারে দৈনিক বাঙ্গালি-অবাঙ্গালি সহ শত,শত লোকের সমাবেশ ঘটে। এনিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান সংবাদ কে বলেন, সার ও কীটনাশক দিয়ে চাষ করা শাখ সব্জির চেয়ে অ-চাষকৃত সব্জিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। এগুলোতে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার হয়না বিধায় অন্যান্য সব্জির চেয়ে এর চাহিদা এবং দামও একটু বেশি এবং বেশ উপকারী। এনিয়ে কৃষি বিভাগ থেকে আলাদা একটা প্রকল্প করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে সরকারি বরাদ্দ পেলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।