কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের হতদরিদ্র দিন মজুর মজিদুল ইসলামের শিশু কন্যা মুবাইয়া আক্তার মীম (০৩)। সে জন্মের পর থেকে হৃদপিন্ডে ছিন্দ্র দেখা দেওয়ায় তার বাবা বিভিন্ন সময় আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ধার-দেনা করে চিকিৎসা করান। টাকার অভাবে গত এক বছর ধরে মীমের চিকিৎসা বন্ধ হওয়ায় মীম আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মীমের বাবা মজিদুল ইসলাম মেয়ের করুণ পরিনিতি দেখে গত ১০ দিন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুল আফছারের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। তিনি দ্রুত অপারেশনের জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত তিন বছরের শিশু মুবাইয়া আক্তার মীম সকলের সহযোগীয় বাঁচতে চায় ! মীমের বাবা দিন মজুর মজিদুল ইসলাম বলেন, জন্মের পর থেকে মীমের হৃদপিন্ডে ছিন্দ্র দেখা দেওয়ায় টানা দুই বছরে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশিদের কাছে ধার-দেনা করে সিরাজগঞ্জ ও রংপুরে চিকিৎসা করানো হয়। গত ১ বছর ধরে টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা বন্ধ ছিল। হঠাৎ মেয়ের অবস্থা করুণ পরিনিতি হওয়ায় ১০ দিন আগে মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুল আফছার কাছে নিয়ে গেলে তিনি দ্রুত অপারেশনের জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ দিকে মীমের অপারেশন করতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসা বাবদ এতো টাকা কিভাবে জোগার করবে এ নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন মীমের বাবা মজিদুল ইসলাম ও মা আয়শা বেগম। তাদের বসতভিটার ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেও এতো টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অবুঝ সন্তানকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের হৃদয়বান দানশীল মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-মীমের বাবা মজিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে (০১৭৬১২২৭৪৯৫) সরাসরি কথা বলে বিকাশ এর মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো যাবে।