এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় ময়মনসিংহে রিক্সা চালক লাল চান মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বৃহ¯প্রতিবার হত্যাকান্ডে জড়িত জয়নাল আবেদীন রাজীব ময়মনসিংহের আদালতে স্বিকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারী জেলা সদরের বেগুনবাড়ি এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, জেলা সদরের খাগডহরের স্বল্প বরিয়ান এলাকার রিক্সা চালক লাল চান মিয়া গত ২৯ জানুয়ারী রিক্সা চালাতে না গিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ধর্মীয় সভায় যান। রাতে ধর্মীয় সভাস্থলেই পাশেই লাল চান মিয়াকে গুরুতর আহত এবং উলঙ্গ অবস্থায় পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ৩১ জানুয়ারী লাল চান মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩(২)২০২১ ধারা-৩০২/৩৪ দায়ের হয়। মামলাটি কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তদন্তকালে দীর্ঘ দেড় মাসেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। অবশেষে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্রুততম সময়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেয় দায়িত্বশীল পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। ডিবি পুলিশ গুরুত্বপর্ণ হত্যা মামলার তদন্তভার প্রাপ্ত হয়ে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মাত্র ৭ দিনের মধ্যে রিক্সা চালক লাল চাঁন মিয়া খুনের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। ডিিিবর ওসি শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক আহম্মেদ অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক জয়নাল আবেদীন রাজীবকে বৃহ¯প্রতিবার রাতে জয় বাংলা বাজার থেকে গ্রেফতার করে। ডিবির সি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গ্রেফতারকৃত রাজীব পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বিকার করে। রাজীবের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, নিহত লাল চান মিয়া ও গ্রেফতারকৃত জয়নাল আবেদীন রাজীব একত্রে গাজা সেবন করতো। সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে লাল চান মিয়ার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জয়নাল আবেদীন রাজীব। এ বিষয়টি লাল চান মিয়া চের পেয়ে জয়নাল আবেদীন রাজীবকে বাধা নিষেধ এবং তার বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ করতে চাপ দেয়। এতে জয়নাল আবেদীন রাজীব ক্ষুব্দ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৯ জানুয়ারী এ এলাকায় ধর্মীয় সভায় ওয়াজ শুনতে গেলে রাতে জয়নাল আবেদীন রাজীব তার গাজাখোর বন্ধু লাল চান মিয়াকে গাজা খাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয় এবং দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ফারুহ আহাম্মেদ বলেন, গ্রেফতারকৃত জয়নাল আবেদীন রাজীবকে বৃহ¯প্রতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড.মোঃ রাশেদ হোসাইন ৪নং আমলী আদালতে পাঠানো হলে, হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। নিহতের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের জেরে তাকে হত্যা করেছে মর্মে বলে স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে
টি.কে ওয়েভ-ইন