এম এ আজিজ, প্রধান প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ ॥ করোনা ভাইরাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ও পরিবারের অন্যান্যদের নিরাপত্তার আশংকায় ছেলের লাশ গ্রহণ করেনি পিতা। দীর্ঘ ৪২দিন পর অবশেষে রাস্ট্রীয়ভাবে মৃত ছেলে আরাফাত হোসেন (১৭) দাফন করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া (চড়ইতলা) গ্রামসহ পুরো ত্রিশাল ঝুড়ে এ ঘটনা এখন আলোচনা সমালোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।
করোনা ভাইরাস সারা বিশ্ব এখন একটি আতংক। মানুষকে মানবিকও করছে আবার অমানবিকও করেছে। বাংলাদেশও এর থেকে বাইরে নয়। তবে ময়মনসিংহে ঘটেছে ব্যত্রিক্রমী ঘটনা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চরপাড়া (চড়ইতলা) গ্রামের জনৈক মজনু মিয়ার ১৭ বছর বয়সী ছেলে আরাফাত হোসেন করোনা উপসর্গ নিয়ে ময়মনসিংহের সূর্য্য কান্ত (এস কে) হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীণ অবস্থায় ২২ এপ্রিল আরাফত হোসেন মৃত্যুবরন করে। মৃত আরাফাতের লাশের করোনা টেষ্টে ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরিবারের কাছে তার হস্তান্তর করতে কর্তৃপ চেষ্ঠা করলেও মৃত আরাফাতের পিতাসহ তার পরিবার লাশ গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় কর্তৃপ মৃত আরাফাতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘ ৪২ দিন ধরে আরাফাতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের হিমঘরে সংরতি রয়েছে।
৪২ দিনের তার পিতা ও পরিবার মৃত ছেলের লাশ গ্রহণ না পিতা মজনু মিয়া গত ৩ জুন ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি বরাবর আবেদন করেন তিনি তার ছেলে লাশ গ্রহণ করবেন না। আবেদনে তিনি বলেন, আমার ছেলে আরাফাত (১৭) শারিরীক অসুস্থ্যতা হলে করোনা সন্দেহে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে এসকে (সূর্যকান্ত) হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় গত ২২ এপ্রিল আমার ছেলে আরাফাত মৃত্যুবরণ করে। আরাফাতের মৃত্যুর পর তার করোনা নেগিটিভ সনাক্ত হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন করোনা সন্দেহের কারণে আমার পরিবার ও আমার এলাকাবাসির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার ছেলের মৃতদেহ গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমার ছেলে আরাফাত হোসেনের মৃতদেহ সরকারীভাবে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক দাফন করার জন্য মর্জি হয়। কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুশফিকুর রহমান বলেন, মৃত আরাফাতের লাশ গ্রহণের তার পিতা মজনু মিয়ার আবেদনের প্রেেিত লাশ দাফনের লে যথাযথ কর্তৃপকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও ত্রিশাল পৌরসভার সাথে কথা বলে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এ ছাড়া আরাফাতের পরিবারের সাথে শেষ পর্যন্ত আবারো কথা বলে দেখব, যদি লাশ গ্রহণ নাই করে তাহলে আইনীভাবেই দাফন করা হবে। আরাফাতের মৃত্যুর ৪২ দিনেও লাশ গ্রহণ না করে পাল্টা সরকারীভাবে লাশ দাফনের আবেদন কেন করা হলো এ সম্পর্কে তার পিতা মজনু মিয়া সাথে বৃহ¯প্রতিবার দুপুরে মোবাইলে কথা বলার চেষ্ঠা করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।