2. ত্রিশাল, ময়মনসিংহ জেলা
3. ময়মনসিংহের ত্রিশালে মসজিদের বাথরুম নষ্ট করার প্রতিবাদে মারধর ॥ ভয়ে নামাজে যেতে পারছেনা মুসুল্লীরা

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মসজিদের বাথরুম নষ্ট করার প্রতিবাদে মারধর ॥ ভয়ে নামাজে যেতে পারছেনা মুসুল্লীরা

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ মসজিদের বাথরুম, পস্রাবখানা ব্যবহার করে নষ্ট করায় মুসল্লীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর করে মারাত্বক আহত করা হয়। শুধু তাই নয় পাল্টা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। একই সাথে মুসুল্লীদেরকে নানাভাবে ভয়ভীত দেখানো হচ্ছে। ফলে ঐ সমস্ত মুসুল্লীরা মসজিদে নামাজেও যেতে পারছেনা। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মাদলার গোপ গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদে এ অবস্থা বিরাজ করার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আঃ জব্বার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ত্রিশাল উপজেলার মাদলার গোপ গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদটির বাথরুম, পস্রাবখানা মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কতক লোকজন ব্যবহার করে নষ্ট করে ফেলে। যা পরবর্তীতে মসজিদে নামাজের জন্য আসা মুসুল্লীদের ব্যবহার প্রায় অনুপযোগী। এ নিয়ে মসজিদের মুসুল্লীরা কোন কিছু বললে মসজিদ সংলগ্ন ঐ সমস্ত এলাকার লোকজন মুসুল্লীদের অকথ্য গালমন্দ করে। এছাড়াও ওয়াক্তের নামাজের সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ঐ সমস্ত লোকজন ও মহিলাদের নিজ বাড়িতে উচ্চস্বরে ঝগড়া বিবাদের ঘটনায় নামাজে বিগ্ন ঘটে আসছে। এ নিয়ে মসজিদের ইমাম খায়রুল ইসলাম গত ২৪ এপ্রিল আছরের নামাজের পরে ঐ চক্রটিকে ধর্মের আলোকে বুঝানোর চেষ্ঠা করেন। এতে তারা রাগান্বিত হয়ে ইমামের প্রতি প্তি হয়ে উঠে তাকে অকথ্য গালমন্দ করে বেইজ্জতি করে। এক পর্যায়ে ইমামকে আঘাত করার চেষ্ঠা করলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আঃ জব্বার প্রতিবাদ করে। এ সময় চক্রটি মাওলানা আঃ জব্বারকে ফেলে দেয়া। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংশার উদ্দেশ্যে পরদিন মসজিদ আঙ্গিনায় উপস্থিল হলে ফায়জুল হক বাচ্চু, ইউসুফ আলী, এমদাদুল হক সুজন, সিরাজ মিয়া, খলিল মিয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম, লিটন মিয়া, হেলাল উদ্দিনসহ ২০/২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকালে চক্রটি দুলালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। দুলালকে বাচানোর জন্য তার ভাই আজিজুল হক ও আঃ রহিম এগিয়ে আসলে চক্রটি তাদেরকেও বেদম মারপিট করলে আজিজুলও গুরুতর আহত হয়। এ সময় চক্রটি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আঃ জব্বারকেও পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় শান্তিুপর্ণ পরিবেশে সকল মানুষজনের নামাজ আদায় নিশ্চিত করতে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাদের আশ্বাস উপেক্ষা করে পাল্টা বুলবুল আহম্মেদ বাদি হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা করে। যার নং ৪১(৪)২০। ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীসহ মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা করায় মসজিদ কমিটিও মামলা করে। মামলা নং ৫(৫)২০ দায়ের করে।
মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করেন, তারা মামলা মোকদ্দমা নয়, বাথরুম ও পস্রাবখানা ব্যবহার করে নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় ইমাম, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ মুসুল্লীদের গালমন্দ, বেইজ্জতি, অপদস্ত এবং মারধর করার পরও কোন মামলা করেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এটি মিমাংশা করে দিবেন এমন আশ্বাসে অপেক্ষা করছেন। এর পরও বুলবুল আহম্মেদ মামলা করেছেন। শুধু তাই মামলার পাশপাশি তারা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ মুসুল্লীদের নানভাবে ভয়ভীতি এবং মসজিদে নামাজে গেলে তাদেরকে খুন জখম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। মাওলানা আঃ জব্বার অভিযোগে দাবি করেন, তারা আমাদেরকে মসজিদে নামাজে যেতে দিচ্ছেনা। পবিত্র রমজান মাসে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরে আমরা মসজিদে নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ অবস্থায় তিনি জেলা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর