এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাবেয়া হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত কামাল ফকিরকে গ্রেফতারসহ তার কাছ থেকে নিহতের মোবাইল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহ¯প্রতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হলে কামাল ফকির স্বিকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ৩০ মার্চ রাতে ঈশ্বরগঞ্জের গালাহার গ্রামের ভেকুয়া বিলের পাশ থেকে রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা নং-৩০, তারিখ-৩০/০৩/২০২১ ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু হয়। থানা তদন্তাকালে মামলার রহস্য উদঘাটনে ময়মনসিংহের দায়িত্বশীল ও দক্ষ পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান থানার পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) বিশেষভাবে দায়িত্ব দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবির ওসি শাহ কামালের নেতৃত্বে হত্যকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক কামাল ফকিরকে বৃহ¯প্রতিবার মধ্যরাতে ঈশ্বরগঞ্জের কাঁঠাল ডাংরী থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত কামাল ফকিরের বরাত দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, নিহত রাবেয়ার সাথে আসামী কামাল ফকিরের অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। এ সুবাধে কামাল ফকির নিহত রাবেয়াকে ৫ হাজার টাকা হাওলাত দেন। ঐ টাকা চাওয়ার জন্য সে রাবেয়াকে সবেবরাতে রাতে মোবাইলে ডেকে আনেন এবং হাওলাতি টাকা ফেরত চান। রাবেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে আরো টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তিনি ধর্ষণের মামলা করবেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি। এক পর্য়ায়ে কামাল ফকির রাবেয়াকে ঘুষি দিলে নে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে কলাগাছে ডাগা ( ফাতরা) গলায় পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে নিহত রাবেয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘাতকের কাছ থেকে নিহত রাবেয়ার লুট হওয়া মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।
কামাল ফকিরকে বৃহ¯প্রতিবার আদালতে পাঠানো হলে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।