স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের গৌরীপুর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাকে ও আমার ছেলে রাজিবকে হত্যার পক্রিয়া করছে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র রাজাকার পুত্র রফিকুল ইসলাম। রবিবার রাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে সরকারী ও দলীয় কর্মসূচীতে যোগদানের জন্য গৌরীপুর পৌর শহরে যাওয়ার পথে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদের গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে নাজিম উদ্দিন আহমেদ রবিবার সন্ধ্যায় এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ৭১ এর রাজাকার ও পরবর্তীতে দালাল আইনে কারাভোগী আবু সাঈদের ছেলে মেয়র রফিকুল ইসলাম গৌরীপুরে রাজাকারের রাম রাজত্ব ও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চেষ্ঠা করছে। আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্ঠা করছে। সদ্য অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের দিন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে আমি কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডি করেছি। বর্তমানে সে আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্ঠা করছে। তিনি আরো বলেন, গৌরীপুরে নৌকা পরাজিত হয়নি। মেয়র রফিকুল ইসলাম বিএনপি জামাতের সাথে আতাত করে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে যারা আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তার এবং লোকজনের ভয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছেনা। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেনা এটা দুঃখজনক। তিনি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। তিনি আমার এবং আমার কর্মীদের মাধ্যমে আরো একটি খুনের ঘটনা ঘটাতে নানা পক্রিয়া করছেন। যাতে আমিও খুনের আসামী হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াই।
রবিবারের হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারী কর্মসূচীতে রবিবার দুপুরে গৌরীপুরে যাওয়ার সময় বাসস্ট্রান্ডে গেলে আগে থেকে দা, বল¬ম নিয়ে প্রস্তুত থাকা রফিকুল ইসলামের লোকজন আমার কর্মী ও গাড়ির উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে রেললাইনের পাথর ছুড়ে মারতে থাকলে হতাহতের আশংকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলিনি। যার প্রত্যক্ষদর্শী থানা পুলিশ। এ হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।
পুলিশ সম্পর্কে তিনি বিশোদগার করে বলেন, পুলিশ আমার কথা শুনে না। আমি পুলিশকে ফোন দিলে তা কার্যকর হয়না। তার ধারণা পুলিশের সাথে মেয়র রফিকের আতাত রয়েছে। তিনি গৌরীপুরের শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, মেয়র রফিকের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে গৌরীপুর অপরাধের অভয়াশ্রম থেকে মুক্ত করুন। তাকে গ্রেফতার করুন। শুভ্র হত্যা মামলার দ্রুত চার্জসীট দিন। সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান হবি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরকার, শহিদুল ইসলাম অন্তর, জনি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।