মা মাগো
তোমায় ছেড়ে আছি
বহুবছর, বহুমাস, বহুদিন, বহুরাত্রি
মনের ভিতর লালায়িত
তোমার স্নেহ ভরা মুখখানি,
তোমার ভালোবাসার মনখানি।
এপার থেকে কল্পনায় আঁকি
তোমার প্রতিদিনের কর্মজীবন,
তুমি কেমন আছো-
কিভাবে আছো?
মাগো ও মমতাময়ী মা আমার
তোমার ছায়ায়, তোমার মায়ায়
নিজেকে এমনভাবে গড়েছি যে,
মা হয়ে বুঝেছি
মায়ের প্রসবের যাতনা,
সন্তান লালনের কষ্টটা।
এভাবে তুমিও তো
কত কষ্ট ও যাতনা সয়ে
আমায় বড় করেছো।
আজ আমি সার্থক মাগো
তোমার ধন্যি মেয়ে হয়ে
সন্তান লালন ও সংসার চালনার
সকল ক্ষমতায় পাকা গৃহিণী আর
মায়ের ভুমিকায় যথার্থ,
নিজেকে পারদর্শিতায় অর্জন করেছি বলেই
আজ আমি সত্যি মায়ের
অনুভূতি প্রকাশ করি।
আচ্ছা মা কতদিন
আমার মাথায় বিলি কাটোনি
বলো তো?
আচড়িয়ে দাওনি কেশগুচ্ছো,
বড্ড এলোমেলোয় থাকি,
সেই ছোটবেলার মত।
তোমার বকুনিতে ভয় পেয়ে
গুছিয়ে রাখতাম আমাকে
আমার সকল কিছুকে।
তুমি সেই ছোটবেলার মতো
সেই ছোট মেয়েটাকে
আদর করে দিও।
যেন মেয়েটির সকল ব্যথা ও যাতনা যায় সেরে।
মাগো,
জনারণ্য বাংলাদেশের মাটিতে
আজকের তোমার ভালোবাসা
খুঁজে বেড়াই,
কেমন করে অতল হয়ে যাচ্ছি
পরিচিতি ও অপরিচিতির মাঝে।
কারণ তোমার আমার মাঝে
শুধু সীমান্ত।
তবু তোমার সকল কিছুর মাঝে
পাই মা মা গন্ধ।
তোমায় অজস্র দিনে
না পাওয়ায় মনে হয়
নদী আছে স্রোত নেই
বায়ু আছে বেগ নেই,
জীবন আছে প্রবাহ নেই।
আচ্ছা মা,আমারতো
কোনকিছুর অভাব নেই
শুধু মাত্র তোমার অভাব ছাড়া,
তবু এতসব থেকেও মনে হয় শুন্যতে বেঁচে আছি।
ছেলেবেলায় যখন গল্প বলে
ভাত খাওয়াতে
গান গেয়ে ঘুম পাড়াতে
ভাবতাম এতকিছুর ক্ষমতা
রাখো কি করে।
মা মাগো
তুমি সব কিছুর উর্ধ্বে
সন্তানকে আগলে রাখো।
তাই তো মাগো
তোমায় লাগে এত ভালো
মা, তোমায় খুব বাসি ভালো।