ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রিটার্ণিং কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সজল চন্দ্র সরকারকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুমকে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর/২১) জামিনে মুক্তি দিয়েছেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোর্টের ইন্সপেক্টর পূসন কান্তি দাস।
এদিকে এম.এ কাইয়ুমের মুক্তির খবর এলাকায় ছড়িয়ে বইছে আনন্দের বন্যা। কলতাপাড়া গ্রামের করফুলেন্নেছা (৭০) এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভোট দিলাম। পাস করলো। হেরে আটকাইছে। এ অন্যায়ের বিচার আল্লাহ করবো। জুলুমকারীর ক্ষমতা বেশিদিন থাকে না। মুক্তির খবরে কলতাপাড়া, নন্দিগ্রাম, তাঁতকুড়া এলাকায় সাধারণ মানুষ একনজর কাইয়ুমকে দেখার জন্য ভিড় জমায়। এ সময় অনেকে আবেগ-আপ্লেুত হয়ে পড়েন। অনেকেই নতুন ফুলের মালা দিয়ে কাইয়ুমকে বরণ করে নেন।
মামলা ও নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর/২১) গৌরীপুর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ফলাফল ঘোষণা কক্ষে বসে ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করে ফলাফল ঘোষণা করছিলেন। এ সময় ডৌহাখলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ কাইয়ূম ও তার সহযোগীরা ফলাফল ঘোষণা কক্ষে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফলের কপি চায়। কিন্ত নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের জানান ওই কেন্দ্রের ফলাফলের কপি এখনো আসেনি। পরে কাইয়ূম ও তার সহযোগীর উত্তোজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও ফলাফল ঘোষণার কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করে। ওই দিন রাত ১১টায় ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভোট গণনা শেষে এম.এ কাইয়ূমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুর ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পরপরই ওইদিন রাতে কাইয়ুমকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সোমবার নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। বুধবার তিনি জামিনে মুক্তি পান।