‘জনতার ফান্ড’-এ পরিচালিত নৌকা প্রতীকের দেশজুড়ে আলোচিত প্রার্থী মো. হযরত আলী এবারও বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার ৯হাজার ১৪৮ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্ণিং অফিসারের দেয়া ফলাফলে হেরে যান। তবে বিজ্ঞ আদালতে এ ফলাফরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন মো. হযরত আলী। সেই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ৫১ ভোটে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। করোনকালীন দুর্যোগে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় ও দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও ৫বছরে সেই রায় মোতাবেক চেয়ারম্যানের আসনে বসতে পারেননি তিনি।
এবার জনগণ আবারও তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজয়ী চেয়ারম্যান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিতে নৌকা আর মানুষে দিছে ভোট, আমার না; ন্যায়ের জয় হয়েছে, জনতার জয় হয়েছে। আমি এ ঋণ কোনোদিন ভুলবো না। মানুষের গোলাম হিসেবে কাজ করতে চাই।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মো. হযরত আলী বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান
মো. আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৫হাজার ১৫৯ ভোট। ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্ণিং অফিসার রিটার্ণিয় অফিসার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম। এ ইউনিয়নের অপর দু’প্রার্থী মাহবুবুর রহমান মটর সাইকেল প্রতীকে পান ২২৭ ভোট ও মো. তোফাজ্জল হোসেন আনারস প্রতীকে পান ১হাজার ৯৩১ ভোট।
ভোটে বিজয়ী হলেও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ও ৫বছর মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মো. হযরত আলী। তিনি প্রচারণা পথসভায় বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এরপরেই স্লোগান উঠে ‘নিজের খেয়ে নৌকা, নিজের খেয়ে হযরত’। ২৪ডিসেম্বর ওই সভায় উপস্থিত হযরত ভক্তরা তাকে বিজয়ী করতে ‘জনতার ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন করেন। এক সভাতেই এ তহবিলে ১লাখ ৬হাজার ৩২০টাকা জমা পড়ে।
এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২০হাজার ৫৭৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০হাজার ৩৯৬জন ও মহিলা ভোটার ১০হাজার ১৮১জন। ভোট প্রদান করেন ১৬হাজার ৮২৪জন। যার শতকরা হার ৮১.৭৬শতাংশ। নৌকা প্রতীক এ ইউনিয়নে ৩হাজার ৯৮৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।