কাউন্সিলর পদে আদালতের রায়ে জয় পেলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস এম আলী আহাম্মদ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মিজানুর রহমান বৃহস্পতিৃবার (১৮ এপ্রিল/২৪) বিজ্ঞ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী নির্বাচিত কাউন্সিলর এস এম আলী আহাম্মদকে দায়িত্ব অর্পণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে পত্র দেন।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোট গণনা শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত গেজেট প্রকাশিত হয়।
আইনী লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ৪ এপ্রিল সংশোধনী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গেজেট সংশোধন করেন। এ সংশোধনীতে ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে এস.এম আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূইয়ার ফলাফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। ১৬ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন এ গেজেট প্রকাশ করেন।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এস এম আলী আহাম্মদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পুণ:ভোট গণনায় এস এম আলী আহাম্মদের ডালিম প্রতীক পেয়েছে ৬০৪ ভোট ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের উটপাখি পেয়েছে ৫৩৯ ভোট। গত বছর ২৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ নির্বাচন ট্রাইবুনালের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক লায়লা শারমিন এর দেয়া রায়ে, ডালিম প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ৩০দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে নির্দেশ দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন ট্রাইবুনালের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক লায়লা শারমিন এর রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন। ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল থাকে।