ময়মনসিংহের গৌরীপুরের হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন আহম্মেদ শরীফ হত্যাকাÐের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার (২৯ অক্টোবর/২৩) উপজেলার মনাটি বাজারে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে শরীফের দাদী রোকিয়া খাতুন জানান, আমার নাতিকে এরশাদ খুন করেছে। এরপরে নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বাধা দেয়। এরশাদ আর তার চার ভাই রাস্তায় দা, লাঠি-বল্লম নিয়ে দাঁড়িয়ে বলে আমার বাবার রাস্তা দিয়া তোদেরকে যেতে দিবো না। এরশাদের ফাঁসি চাই ও আর ওর ভাইদের যাবতজ্জীবন চাই।
নিহতের মা শরিফা আক্তার অভিযোগ করেন হত্যাকাÐে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের আতঙ্কে আমরা ভীত। যে কোনো মুর্হূতে আবারও হামলা করতে পারে। তিনি প্রশ্ন করেন; খুনের সঙ্গে জড়িতরা ঘুরছে কিভাবে?
মানববন্ধন কর্মসূচীতে হত্যাকাÐের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, নিহতের বাবা মো. সবুজ মিয়া, মা শরিফা আক্তার, দাদী রোকিয়া খাতুন, ফুফি আছমা বেগম, রিকশা চালক সুরুজ আলী, সহপাঠী মো. মাসুদ মিয়া প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পিতা মো. সবুজ মিয়া জানান, তার ছেলে শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণি ছাত্র। গত বুধবার তার পুত্র ইয়াসিন আহম্মেদ শরীফ (১৬), তার বন্ধু মো. ফারুক মিয়া (১৬), মো. রফিক মিয়া (১৭), তরিকুল ইসলাম (১৫) ও মো. লিমন মিয়া (১৬) কে সঙ্গে মাথার চুল কাটার উদ্দেশ্যে মনাটি বাজারে যাচ্ছিলো। ওরা মনাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইটের সলিং রাস্তায় পর মো. এরশাদ মিয়া ছুরি দিয়ে আমার ছেলের বুকে পাড় দেয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পরে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে হত্যাকাÐের মূল আসামী মো. এরশাদ মিয়া ও অজ্ঞাতনামা ৪জন আসামী করে গৌরীপুর থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান জানান, প্রধান আসামী এরশাদ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন, অন্যা আসামীদের সনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।।