ফাল্গুনের শুক্লপক্ষ
ভরপুর পূর্নিমাতে
আভূষণের বন্ধনে আবৃত হয়েছিলাম
এক চিলতে সিদূঁর
সিঁথিতে রাঙিয়ে।
বয়স কত ছিলো তখন
অষ্টাদশী তে পা রাখিনি।
বুঝিনি জানিনি সিদূঁর কি??
অবাক অবলোকনে
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
কপোলে আর সিঁথিতে
আয়নায় ঘুরে ফিরে
সিদূঁরের রক্তিম টকটকে
লাল রাঙ্গায়িত সিদূঁর।
ভাবছি???
এ কি?কোন জন্ম হলো আমার।
সাতাশটি বছর অতিক্রম হতে চললো
সিদূঁরের মূল্যবোধ নিয়ে চলছি,
কিন্তু সঠিক মূল্যায়ন হয়নি জীবনে।
এজীবনের কোন প্রান্তরেই
ছিলো না শান্তির ছায়া,
এক চিলতে সিদূঁর
পুরো বদলে দেয় জীবনটাকে,
দুহাতে শাখাঁ
আলতা আর লাল পেড়ে শাড়ি ছিলো
পূর্নতায় অমোঘ।
কপোলে মায়ার সিদূঁর
ভাবনা আমার সুখ।
বাঙ্গালী হিন্দু নারীর
সুখ গুলো সিদূঁর আর
শঙ্ক পাড়ের ঘরে,
শাখাঁ আর আলতার ছোয়া
হাসি হয়ে ঝরে।
দু টাকার সিঁদুর হলেও
বিবাহিত হিন্দু নারীর কাছে
অনেক দামী অনেক পবিত্র,
সেই পবিত্র সিদূঁর সিঁথিতে রাঙ্গিয়ে
নারীরা দেয় সিদূঁরের মূল্যবোধ।