-
- তারাকান্দা, ময়মনসিংহ জেলা, স্লাইড
- ঈদে মেয়েকে নতুন জামা কিনে দেয়া হলো না অজুফা’র
রফিক বিশ্বাস || নিজস্ব প্রতিবেদক (তারাকান্দা) ময়মনসিংহ
- প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১, ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ণ
পিতৃহীন দরিদ্র অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান পপি আক্তার (৭) কে ঈদে নতুন জামা কিনে দেয়া হলো মা অজুফা আক্তারের। তিনি গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।
পপির নানী মোছা: হাসনা খাতুন (৫৫) জানান, গত ৮/৯ বছর পূর্বে বালিখা ইউনিয়নের পূর্ব মালিডাঙ্গা (দোহালিয়া) গ্রামের এনামুল হকের সঙ্গে অজুফার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে পপি নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পপির দুই বছর বয়সের সময় তাঁর পিতা এনামুল হক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিধবা হয়ে পড়ে অজুফা। তাঁর কোনো ভাই না থাকায় অজুফা তাঁর শ্বশুর বাড়ির সম্মতিক্রমে সন্তান পপিসহ অজুফা তাঁর বাবার বাড়ি চলে আসে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। একমাত্র সন্তান কে মানুষের মত মানুষ করতে সংসারের হাল ধরে। হাস, মুরগী, ছাগল লালন পালন করে এবং স্বামীর রেখে যাওয়া কিছু অর্থ লেনাদেনা করে। একই গ্রামের নূরুল ইসলামের পূত্র নূরুন্নবী (৩০) তাঁর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা ধার নেয়।
পপির একমাত্র খালা অরমিনা আক্তার জানান, পপি তাঁর মায়ের কাছে ঈদে নতুন জামা কিনে দেয়ার আবদার করে। তখন তাঁর মা বলেন আমি পাওনা টাকা নিয়ে নতুন জামা কিনে দিব।
অজুফা প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকলে ছাগলের ঘাস কাঁটাতে গিয়ে নূরুন্নবীর সঙ্গে দেখা হয়। এসময় সে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাঁর সাথে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় তারপর অজুফা কে কারেন্টের তার দিয়ে তাকে হিট দেয় গুরুতর আহত করে পানিতে চুবিয়ে হত্য করে পুকুরে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। দীর্ঘ সময় সে বাড়িতে না যাওয়ায় বাড়ির লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ফিসারির পুকুরে অজুফার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ অজুফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাত মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যপারে অজুফার মা হাসনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াজেদ আলী জানান, পুলিশ মামলাটি তদন্তে নেমে ঘাতক নূরুন্নবীকে গ্রেপ্তার করে ধৃত আসামী হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর