বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব) আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর আবারো হামলা হয়েছে। এতে আহত মোরশেদুল রবি ও আবদুল সালাম নামে দুই সমর্থক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন- প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন; কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করবেন না।
রোববার সন্ধ্যায় কাহালু বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি রাতে বগুড়া সদরের এরুলিয়ার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, এ হামলার সঙ্গে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, তিনি পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা শেষে রোববার বিকালে ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক নিয়ে কাহালু বাজার এলাকায় আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মাছ ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারণা চালাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এরপর তারা হামলা চালিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেন।
তিনি আরও বলেন, হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লার অজ্ঞাত দুজন কর্মীও সেখানে ছিলেন।
হামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, এভাবে হামলা করে তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন; কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করবেন না। শেষপর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকব। জীবিত থাকতে তাকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হবে।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার ওপর দুদিন হামলার বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন।
এ প্রসঙ্গে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, বগুড়া-৪ আসনে তাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় হিরো আলমের ওপর হামলার প্রশ্ন নেই।
কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।