গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্কুলশিক্ষক লাজুকসহ তিন আসামির রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। রোববার ময়মনসিংহ ৪নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মাহবুবা আক্তার মামলার শুনানি শেষে এই রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম রিমাণ্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন শিক্ষা অফিসারকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করে রিমাণ্ড মঞ্জুরের আবেদন করা হয়। মামলার শুনানি শেষ বিজ্ঞ বিচারক মামলার আসামি কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুকে ৫ দিন ও তার দুই সহযোগী শামসুজ্জামান বাপ্পী, তৌহিদা আক্তার রুমা এই দুজনকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমাণ্ড) করার আবেদন মঞ্জুর করেন। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শিক্ষা অফিস ও থানা সূত্রে জানা যায়, লাজুক উপজেলার ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের কাছে নিয়ম বর্হিভূতভাবে চারজন শিক্ষকের বদলির সুপারিশ করেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসার এতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে লাজুক ও তার সহযোগীরা শিক্ষা কর্মকর্তার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রচার করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বাদী হয়ে গত সোমবার গৌরীপুর থানায় ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে মামলা করেন। ওইদিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের বালুয়াপাড়া থেকে লাজুক মাস্টার এবং তার সহযোগী শামসুজ্জামান বাপ্পী ও তৌহিদা আক্তার রুমাকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার শফিউল হক বলেন, গৌরীপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় সহকারী শিক্ষক কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।