ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নহাটা স্কুল মাঠে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেন এতো নারী পুরুষের সমাগম ঘটলো ? এলাকার সচেনত লোকজন কি এখানে কেউ ছিলেন না ? দেশের আজ যে অবস্থা । সরকার সারাদেশ লকডাউন করে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে । আর আপনারা লোকজনকে ডেকে এনে একি করলেন ? শুনলাম অনেক জনপ্রতিতনিধিরা নাকি এর সাথে জড়িত ? তারা উপস্থিতে ছিলেন। আপনারা তু সরকারের অংশ। কোথায় জনগণকে সর্তক করার বদলে আদের আজ মৃত্যুর মিছিলে ঠেলে দিলেন ? সত্যি এলাকার খুব ক্ষতি করে ফেললেন।
নিজেদের স্বার্থের জন্যে আজ সরকারের লকডাউন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গী দেখালেন ? সাবাশ আপনাদের। যদি কোনভাবে করোনার হাত থেকে ওরা বেচে যায় তাহলে পুনরায় ভোট পাবেন সেই আশায় ?
সত্যি আপনরা উদ্ভুদ প্রাণী ! ! তবে দু:খ করার কিছু নেই। এর খেসারত আপনাদেরই গুণতে হবে।
আজ যারা লকডাউন অমান্য করে এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন ছবি ও ফুটেজ দেখে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত। না হয় এলাকার অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আর যারা এই সমাবেশের আয়োজন করেছেন তারা কি জবাব দিবেন সেটা প্রশাসনের উপর রইল। যদি কথাগুলো কারো বিপক্ষে গিয়ে থাকে ক্ষমা করবেন। যেহেতু বেচে থাকার সম্ভবনা খুবই ক্ষিণ।
হ্যা আরেকটি কথা মিথ্যা প্রলোভনে নিজেদের স্বাথের জন্যে এখানে যাদের জমায়েত করেছেন তাদের করোনা সুরক্ষা কতটুকু দিয়েছেন আপনারা ? আজকের একটি ভিডিওতে দেখলাম সুবিধাভোগীরা একবাক্যে বলেছেন তাদের ১০টাকা কেজির চাল মহাজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বেশ ভাল কথা তাহলে সরকার আপনাদের চাল দিয়েছেন কি বিক্রি করার জন্যে না পেট চালানোর জন্যে ? যদি ১০টাকা কেজির চাল আপনাদের দরকার নাই হয় তবে অনেক গরীর অসহায়দের রেখে আপনাদের কেন এই কার্ড দেয়া হলো? এখন প্রশ্ন হলো আপনারা কাকে বাচাঁনোর জন্যে এই নাটকে অভিনয় করলেন ? এতে কি আপনাদের সুফল আসবে ? ততদিন অপেক্ষার পালা । নাটকের পরিচালককেও ধন্যবাদ । যিনি শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্ঠা করেছেন।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমাদের সহায় হোন। সকলকে মাপ করুন। আমিন ।
( করোনা সংক্রমণের হারে ময়মনসিংহ বিভাগ ঝুকিপুর্ণ অবস্থান )
সূত্র :
সাতঘটনায় এ পোস্টে ২৩১জন অনুভূতি, মন্তব্য করেছেন ১০৬টি আর শেয়ার ১৫জন।
অধিকাংশ মন্তব্যকারী : এ গনজমায়েতের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। কেউ কেউ অংশগ্রহণকারীদের হোমকোরায়ান্টিনে রাখার মতামত দিয়েছেন। ১৪দিনের মধ্যে মাওহা ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেলে এ আয়োজনকারীরা দায়ী থাকবেন বলেও কয়েকজন মন্তব্য করেছেন।