আজ বৃহস্পতিবার ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
মে দিবসে গৌরীপুরে ডেকোরেটর কারিগর শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ণিল শোভাযাত্রা মহান মে দিবসে রাজ ওস্তাগার নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গৌরীপুরে বর্ণিল শোভাযাত্রা বিশ্ব শ্রমিক দিবসে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গৌরীপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মহান মে দিবসে গৌরীপুরে জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্ণিল শোভাযাত্রা অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: শেখ হাসিনা কৃষিবিদ ড. সামীউল আলম লিটনের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী গৌরীপুরে বিশ্ব নৃত্য দিবস পালিত গৌরীপুরে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসাতে গিয়ে দেবর-ভাবী এখন জেল হাজতে! সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে-ধর্মমন্ত্রী ময়মনসিংহ – শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৮কিঃ মিঃ সড়ক দূর্ঘটনা কবলিত পরিণত
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১, ২০২১, ৪:০৯ অপরাহ্ণ




দেড় লাখ হলেই গৌরীপুরের অসহায় শিশুটি ফিরে পাবে চোখ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
রোজা শেষে এলো খুশির ঈদ। ঈদের আনন্দ চারদিকে বইছে। ঈদের এ আনন্দ এই পরিবারে বিষাদে রূপ নেয়! এটি গত মাহে রমজান শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঘটনে। ঈদের দিনে খেলতে গিয়ে কঞ্চির আঘাত লাগে চোখে। কঞ্চির আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় বাচোখের কর্ণিয়া। এখন সেই চোখের মাংসপিণ্ড দিনদিন চোখের বাহিরে চলে আসছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন কর্ণিয়া সংযোজন। নয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে অপর চোখটিও। এমন শংকায় দিন কাটছে ছোট্ট শিশু মো. ইয়াসিন মিয়ার। বয়স মাত্র ৪বছর ৫মাস। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মো. আবুল বাসারের পুত্র। হতরিদ্র আবুল বাসার পেশায় দিনমজুর।
দৈনন্দিন যা আয় হয় তা দিয়েই চলতো ২ ছেলে আর ১ কন্যাকে নিয়ে ৫সদস্যের পরিবার। ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিলো ইয়াসিন। হঠাৎ করে বাচোখে কঞ্চির আঘাত পায়। ছুটে আসেন গৌরীপুর ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে, তারপরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা। চোখ যেন আর চোখ নয়, ধীরেধীরে আরো অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপরে রেফার্ড করা হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হসপিটালে। সেখান থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা। অসহায় বাবা সন্তান কাঁধে নিয়ে ছুটে চলছেন এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষটির সংসার চলে অর্ধাহারে অনাহারে। চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে সহযোগিতাও নিয়েছেন বারবার। এখন নিরুপায় অসহায় এই বাবা! সন্তানের চোখে, চোখ রাখতে পারছেন না। প্রয়োজন সহযোগিতা!
বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা. নুসরাত শারমীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাীন রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, কর্ণিয়া সংযোজন ব্যতিত ইয়াসিনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। আর এই কর্ণিয়া যোগাড় ও প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন দেড় লাখ টাকা। যা অসহায় বাবার চোখে শুধু অসহায়ত্ব ভেসে উঠছে, নিজের চোখের সামনে তিলেতিলে নষ্টা হচ্ছে সন্তানের চোখের আলো। সন্তানের এমন অনিশ্চিত জীবন আর ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত বাবা।
ইয়াসিনের ছোট্ট বন্ধুরাও তাকে নিয়ে আর এখন খেলতে আসে না। ইতোমধ্যে চোখের ক্ষতস্থানটি বড় হয়ে যাচ্ছে। চোখের বাহিরে বেড়িয়ে আসছে লালমাংস পিন্ড। ছোট্ট এই শিশুটিকে খেলার মাঠে আবারও পেতে চায় তার সমবয়সী বন্ধু ইমতিয়াজ, সোহেলও। বাবার চোখের দৃষ্টি এখন সন্তানের দিকে, শুধু প্রয়োজন সহযোগিতা। এ সহযোগিতা পেলেই ছুটে যাবেন বাংলাদেশ আই হাসপাতালে, যেখানে ইয়াসিন ফিরে পাবে নতুন চোখ ও দৃষ্টি! ইয়াসিনের বাবার নগদ বা বিকাশে ০১৭৬৬-৭৩৫৮০৮, মুঠোফোন প্রয়োজনে ০১৯৪৭-৮১৫২১৭ যোগাযোগ করতে পারেন।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১