সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ওই নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল।
বুধবার (২৪ আগষ্ট) সকালে সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি কোন ডাক্তার, কর্মচারীকে। এমন কি জরুরী বিভাগেও ছিলনা কেউ। বাড়ান্দায় চিকিৎসা নিতে অপেক্ষমান ছিলেন অনেক রুগী।
জরুরী বিভাগের সামনে বসা ছিলেন উপজেলা হাসপাতাল হতে ২০ কিলোমিটার দূর আঠারবাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা দোলনা বেগম জানান, আমার ।কন্যা স্বপ্না বেগম প্রসব ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। অনেক্ষন ধরে বসে থেকেও কাউকেই পাইনি।
হাসপাতাল বর্হিবিভাগ, টিকিট কাউন্টার, ফার্মেসী, প্যাথলজি। এক্স-রে বিভাগ, সেনেটেরী অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র ছিলো তালাবদ্ধ অবস্থায়। এ হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৩৪ জন ডাক্তার রয়েছেন। কিন্তু কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাদের মধ্যে ২জন ডা. মাতৃত্বকালীন, ২জন মৌলিক প্রশিক্ষনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে সকাল ৮:২৩ মিনিটে হাসপাতালে ছুটে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল হুদা খান। এ সময় হাসপাতালে কোন ডাক্তারের উপস্থিতি না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় হলেতো আসবেই। আপনারা সকাল ৮টায় চলে আসছেন ডাক্তার আসছে কিনা দেখতে! তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনাদের চিনে রাখলাম, আপনাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আমরা এভাবেই দেখবো।
হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে ডা. নূরুল হুদা খানের সাথে কথা বলার সময় সেখানে একজন ডাক্তার এসে উপস্থিত হন।
৮:৫৪ মিনিটে ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, টি এইচ এ ডা. নুরুল হুদা কী হাসপাতালে আছে? বিষয়টি আমি দেখছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮ টা থেকে ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত ডাক্তারদের উপস্থিত থাকার কথা। এমন উপস্থিতি অত্যান্ত দুঃখজনক।