ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. জায়েদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দেন চেয়ারম্যান। হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে তা নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসূন কান্তি দাস।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুবুর মিয়া গাগলা গ্রামের বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি আব্দুর রাশিদের কাছ থেকে ‘খাট’ কিনেন। কাঠের দরদামকে কেন্দ্র করে গত ২ জুন দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে নিহত হন আবুল কালাম শেখ। তিনি খান্দার গ্রামের মৃত জাফর আলী শেখের পুত্র। ইউনিয়ন পরিষদে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে ও কুপিয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে।
পরিষদের অফিসকক্ষে ঢুকে গাগলা গ্রামের মমতাজ উদ্দিন হিরাকে কুপিয়ে পুরো অফিস রক্তাক্ত করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের অপর একটি কক্ষে অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জায়েদুর রহমান আশ্রয় নিলে সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন। নিহত আবুল কালাম বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জায়েদুর রহমানের মোটরসাইকেল প্রতীকের সক্রিয় কর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা শেখ হালিম বাদী হয়ে অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জায়েদুর রহমানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- গাগলা গ্রামের মো. আব্দুল মজিদেরপুত্র মো. শফিকুল ইসলাম শফিক (৪০), মো. চাঁন মিয়া (৪৮), মো. আব্দুল মজিদ (৬০), রাকিবুল (২২), সোহেল মিয়া (৩৭), জহিরুল (২৮), ফক্কর উদ্দিন (৬৫), মো. আলাল উদ্দিন (৬০), খায়রুল ইসলাম (৩০), হারুন অর রশিদ (৬০), বাহাজ উদ্দিন (৩৭), রানা (৩৫), আব্দুর রাশিদ (৪২), মো. হাছেন আলী (৪৫), হেলিম (৩০), সাইফুল ইসলাম (৪১), সারোয়ার (২২), তারা মিয়া (৪০), দেলোয়ার (৩২), মো. সোহেল (৩৪), মো. মামুন (৩৬), মো. শরিফ (২২), মো. জাযেদুর রহমান (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।