বেঁচে থাকতে চায় মো. সাদিকুল ইসলাম। সে ‘টেট্রালজি অফ ফ্যালোটস্’ রোগে আক্রান্ত। আল কোরআনের প্রতিটি আয়াতের উচ্চারণে সুমধুর কন্ঠে মুগ্ধ করেছিলো সে। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। কৃষক আব্দুল জলিল ও গৃহিনী মোছা. আয়েশা খাতুনের ৩য়পুত্র সন্তান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন সাদিকুল ইসলামকে সুচিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থাভাবে সেই হাসপাতালে আল কোরআনের পাখিখ্যাত মো. সাদিকুল ইসলাম চিকিৎসা নিতে পারছে না।
তার বাবা একজন বর্গাচাষী। নিজের তেমন জমি নেই। তাই বড় সন্তানদেরও তেমন লেখাপড়া করাতে পারেননি। দু’সন্তান গার্মেন্টকর্মী। এরপরেই মো. সাদিকুল ইসলামকে আলোর পথে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার পণ করেন। সে লক্ষে ভর্তি করেন বোকাইনগরের মাহমুদনগর হাফেজিয়া মাদরাসায়। বর্তমানে কিতাবখানা শাখায় অধ্যয়ন করছে। প্রতিদিন ভোরে পাখির সুরেলা কন্ঠে তেলাওয়াত শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের মুগ্ধ করেছিলো সে। ২১বছর বয়সে এসেই সেই সাদিকুল দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার মা আয়েশা খাতুন এ প্রতিবেদককে জানান, নিজের সন্তান নিজের সামনেই অচেতন হয়ে পড়ে থাকে। প্রায়শঃ এহেন অবস্থায় আমরা অস্থির। ছেলেকে মনে হয় আর বাঁচানো গেলো না। ঢাকায় গিয়েছিলাম অপারেশন করতে প্রায় ৫লাখ টাকা প্রয়োজন। সেই অর্থ যোগানের আমাদের সামর্থ্য নেই।
এ রোগ প্রসঙ্গে ডা. আসাদুজ্জামান চৌধুরী জানান, হার্ডের ৪টি ত্রুটিগত কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সারা শরীরে। আবহমান রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ খুব খারাপ হয়। এ রোগে যে আক্রান্ত হয় ভেন্টিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি, এমন একটি অবস্থা যাতে ডান ও বাম ভেন্ট্রিকল বা নিলয়ের (হৃদযন্ত্রের প্রকোষ্ঠ) সমন্বয়ে ত্রুটি থাকে, ডান নিলয় মোটা হয়ে যায়, হার্ট থেকে ফুসফুসে রক্তপ্রবাহে বাধা হয়, অর্টা বা মহাধমনীর ভুল অবস্থান (শরীরে প্রধান ধমনী) থাকে। মো. সাদিকুল ইসলাম জানান, তিনি যখন জ্ঞান হারান তখন মনে হয় মরেই যাচ্ছেন, শরীরও দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ ও বিকাশ একাউন্ট নাম্বার