শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষের সেরা উপহার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : ফেব্রুয়ারি, ১১, ২০২০, ৩:৪৫ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জনকে মুজিববর্ষের সেরা উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত আনন্দের বিজয়। খেলায় এতবড় বিজয় আগে কখনো পাইনি। দেশে ফিরে আসার পরে ক্রিকেটারদের বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে।’

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করাটা মুজিববর্ষে জাতির জন্য সেরা উপহার। ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। যখনই বাংলাদেশ দল কোনো ট্রফি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দল চার বারের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ের উৎসব পালনের জন্য একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্জনের জন্য সকলকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রস্তাব হচ্ছে এই খুশিতে সবাইকে একদিন বা এক ঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে।’

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে ইনফরমালি যতটুকু কথা হয়েছে তাতে আপাতত চীনে আমাদের যারা আছেন, তাদের আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে, তারা যে যুক্তিগুলো দিয়েছে যেমন- খাবারের অভাব, সাপোর্ট পাচ্ছেন না, আসলে তাদের খাবার-দাবারের কোনো অভাব নেই। বরং তাদের সব সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে তাদের আনার কোনো জাস্টিফিকেশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে যুব ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ের জন্য বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিজয় উৎসব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটি চান। এ সময় কয়েকজন মন্ত্রী হেসে তার কথায় সমর্থন করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ছুটি নয়। এই খুশিতে বরং সবার এক ঘণ্টা করে বেশি কাজ করা উচিত।’

মাদক মামলার বিচারের জন্য খসড়া আইনে মন্ত্রিসভার অনুমোদন : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমানোর জন্য এখতিয়ারভুক্ত আদালতে মাদক সংক্রান্ত মামলার বিচারের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০২০’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ কার্যকর হওয়ার পর এই আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলো বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং পেন্ডিং মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় এই আইনের আওতায় দ্রুত বিচার কাজ শুরুর জন্য আইনের ৪৪ ধারায় ট্রাইব্যুনালের পরিবর্তে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত গঠনের মাধ্যমে আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কিছু প্রশাসনিক কারণে বিচর ও আইন বিভাগ থেকে অদ্যাবধি মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন অথবা অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজকে তার দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল এখনও গঠিত না হওয়ায় ১ লাখ ৭৫ হাজারের অধিক মামলা জট আকারে রয়েছে।

আদালত গঠনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনের ৪৪ ধারায় সংশোধনের পাশাপাশি মোট ২২টি ধারায় পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধগুলো অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হবে।