বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাঙালি মাজহারুল ইসলামেরকবিতা- “বাংলার বন্ধু”

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১৭, ২০২১, ১১:২৯ অপরাহ্ণ

 

বাংলার বন্ধু                                     বাঙালি মাজহারুল ইসলাম তুহিন

শেখ লুৎফর রহমান এবং
মোসাম্মৎ সায়েরা খাতুনের ঘরে,
জন্মেছিলো এক শিশু
১৩২৭ বঙ্গাব্দের ৩রা চৈত্রে।

ঋতুরাজ বসন্তের ২০তম দিনে।
গোপালগঞ্জ মহকুমার টঙ্গিপাড়া গ্রামে।
মধুমতীর শাখা বাইগার নদীর তীরে।
সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে।

কানে শোনানো হয়েছিলো আজান
জন্মের কিছুক্ষণ পরে, খোকা বলে ডাকতেন মা-বাবা
অতি আদর করে।

সাত বৎসর বয়সে খোকা
প্রথম গিয়েছিলেন স্কুলে,
গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।

নয় বছরে বয়সে খোকা
গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে।
পরে ভর্তি হন অবশ্য
গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে।

বেরিবেরি রোগে পড়েন চৌদ্দ বৎসরে,
কলকাতা গিয়ে অপারেশন করে,
লেখাপড়া বন্ধ চার বছর ধরে।
পুনরায় ভর্তি জ্ঞানার্জনের তরে।

বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে
হয় শুভ পরিণয়,
এ সময় বয়স তার
মাত্র সতেরো হয়।

উনিশ বৎসর বয়সে
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক আর
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
স্কুল পরিদর্শনে এলে।

স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে
তা সারাবার জন্য দাবি ধরেন তুলে।
বিশ বৎসর বয়সে যোগ দেন
নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে।

কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে।
সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়,
গোপালগঞ্জ মুসলিম ডিফেন্স কমিটিতে।

বাইশ বৎসর বয়সে খোকা
এসএসসি করেন পাস।
ইন্টারমেডিয়েটে ভর্তি হন
নিয়ে মানবিক বিভাগ।

কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে।
থাকার ব্যবস্থা হয় বেকার হোস্টেলে।
তখন থেকেই সক্রিয় হয়,
পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে।

তারপর তিনি কিভাবে আমাদের হলেন।
সেকথা আপনারা নিশ্চই জানেন।
পঞ্চান্ন বৎসর জাপিত জীবনে।
চৌদ্দ বৎসরই কাটান অন্ধকার কারাগারে।