শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫ মাস পর পিবিআইয়ের হাতে ধর্ষক দেলোয়ার গ্রেফতার ॥ আদালতে স্বিকারোক্তি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১
||
  • প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২৩, ২০২১, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনডেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দীর্ঘ তদন্তশেষে ৫ মাস পর কিশোরী ধর্ষণকারী দেলোয়ারকে গ্রেফতার করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ধোবাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হলো দেলোয়ার ধর্ষণের ঘটনা ও দায় স্বিকার করে জবাববন্দি দিয়েছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ধোবাউড়া এলাকার এক অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী স্থানীয় একটি এবতেদায়ী মাদরাসায় লেখাপড়া করত। লেখাপড়ার পাশাপাশি ঐ কিশোরী মাঝে মাঝে নাম মাত্র টাকার বিনিময়ে ধোবাউড়ার কলসিন্দুর বাজারে খাবার দোকানে থালা-বাটি ধোয়ামোছার কাজ করতো। এদিকে টাঙ্গাইলের দেলোয়ার হোসেন ধোবাউড়ার রানীপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করাকালে কলসিন্দুর বাজারে ভাঙ্গারী দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে থাকে। খাবার দোকানে থালাবাটি পরিচ্ছন্ন কাজ করে আসা ঐ কিশোরীকে মাঝে মধ্যেই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী দেলোয়ার ২/৪ টাকা দিয়ে সহায়তা করে আসছিল।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর সকালে ঐ কিশোরী দেলোয়ার হোসেনের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেলোয়ার তাকে দোকানে ডেকে নেয়। অবুঝ, সহজ, সরল কিশোরী নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে দেলোয়ারের ভাঙ্গারী দোকানের ভিতরে যায়। ঐ সময় দেলোয়ার তার কাম লালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে দেলোয়ার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে কিশোরীকে তার দোকান থেকে বের করে দিয়ে অন্য কাজের অজুহাতে দেলোয়ার হালুয়াঘাট বাজারে চলে যায়। এ ধর্ষণের ঘটনায় ধোবাউড়া থানায় মামলা নং-১৩(১০) ২০২০ , ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯ (১) দায়ের হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে ঐ বছরেরই ৩ নভেম্বর পিবিআই স্ব-উদ্যোগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়াল হোসেনের উপর। পিবিআই মামলাটি তদন্তকালে মামলার প্রকৃত আসামী ও অপরাধীদের গ্রেফতারে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২১ মার্চ (২২মার্চ মধ্য রাতে) ধোবাউড়া থেকে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো বরেন, দেলোয়ারকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঐ কিশোরীকে তার দোকানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।