শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিরাজগঞ্জে এনজিও’র অন্তরালে সামিদুলের প্রতারণা : দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ২২, ২০২০, ৭:১১ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

সিরাজগঞ্জ সদরের বহুলী ধোপাপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বর জয়নাল আবেদীনের ছেলে সামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।রফিকুল ইসলাম নামীয় ভুক্তভোগী গত ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বরাবর এ অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগসহ খোজ নিয়ে জানা যায় ২০১০ সালে সময়া’র নাম ব্যবহার করে প্রথমে এডিপি কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচীর নামে একটি কথিত এনজিও’র মাধ্যমে সামিদুল ইসলাম সঞ্চয় ও ঋণ কার্যকম শুরু করে। এর মাত্র ৩ বছর পর আবারো নাম পরিবর্তন করে ইছামতী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার করে এনজিও ও সমবায় সমিতির নামে বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ১০১৯ সালের জুনে হঠাৎ সকল কার্যকম বন্ধ করেদেন এই সামিদুল।

এদিকে ঐ সামিদুলের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা তার সংিশ্লষ্ট ইউনিয়ের সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর স্বামী স্ত্রী হয়ে উঠে বেপরোয়া। শুরু করেন প্রিিতবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, ঘর নির্মান-টিউবওয়েল বিতরনসহ বয়স্কভাতার অর্থ আত্বসাাতের মত নানা ঘটনা। বাদ পড়েনি অহসায়দের জমি জবর দখলও।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম জানান, ঋন দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করে একটি ব্যাংকের চেক দাবি করে। তার সন্তানের অসুস্থ্যতায় চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজনে তিনি সামিদুলকে একটি চেক সাক্ষর করে দিতে বাধ্য হন। এর পর তাকে ঋণ না দিয়ে চেকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ।

ধোপাপাড়া গ্রামের মজনু জানান, সামিদুল অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের জায়গা দখল করে সেই জায়গায় তার এনজিওর অফিস করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
একই এলাকার দিনমজুর বিশা জানান, আমি গরিব মানুষ। ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। আমাকে সরকার থেকে আমাকে ঘর পাইয়ে দিবে বলে সামিদুল আমার কাছ থেকে এক বছর আগে টাকা নিয়েছে। আজ এক বছর ধরে ঘর ও বা কোন কিছুই না দিয়ে আমার সাথে তাল বাহানা করছেন।

এ সব প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে সামিদুল বলেন, তার ম্যানেজার এ সব টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমিতো কিছু করিনি, ম্যানেজারকে দায়িত্ব দেওয়া ছিলো তিনিই সব করেছেন। এছাড়া সদস্যরা যত টাকা আমার কাছে পায় তার চেয়ে দ্বিগুন টাকা আমি ম্যানেজারের কাছে পাবো। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আমাত-উল-ইলাহ খান বলেন, উল্লেখিত সমিতি যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা সমবায় সমিতির নিয়মে পড়ে না। তারা সাধারন মানুষকে ধোকা দেওয়ার সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার ও সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ব্যক্তি বিনিয়োগে কাজ করেছে। যা নিয়ম বহির্ভুত। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

টি.কে ওয়েভ-ইন