সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যারা উন্নয়ন দেখে না, তাদের চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
বাহাদুর ডেস্ক || ওয়েব ইনচার্জ
  • প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ২৬, ২০২২, ১:১৪ অপরাহ্ণ

যারা উন্নয়ন দেখে না, তাদের চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউবের কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না, হয় তাদের চোখ নষ্ট, তারা চাইলে ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা একটা আধুনিক চক্ষু ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। আর চোখ থেকেও অন্ধ হলে তো কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, আব্বা (বঙ্গবন্ধু) জীবিত থাকতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নিয়ে যেতেন। জীবনে অনেকবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গিয়েছি। যার কারণে চট্টগ্রামের প্রতি আলাদা একটা টান আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  গত ১৪ বছরে এ দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজটিই করেছি। আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি করেছি। এতে অনেক উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছি, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা যে পারি তা দেখিয়ে দিয়েছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করেছি। এটা চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন সাহেবেরও দাবি ছিল।

টানেল নির্মাণের ঋণ প্রস্তাব প্রথমদিকে চীন নিতে চায়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন সফরে আমি খেতে খেতে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাবটা ফের দেই। তিনি খাওয়ার টেবিলেই রাজি হয়ে যান। আমাদের টিমের সদস্যরা খাবার না খেয়েই বের হয়ে গিয়ে (প্রস্তাব) রেডি করে। পরে এটির চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০১৯ সালে প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ শুরু হয়, আর দ্বিতীয় টিউবের বোরিং কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে।

টানেলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নেভাল অ্যাকাডেমি প্রান্ত থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং আনোয়ারায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মধ্যে নদীর তলদেশে সংযোগ স্থাপন করছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার এবং এতে দুটি টিউব রয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে দুটি করে লেন। মূল টানেলের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে একটি রয়েছে ৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক।