বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল -|- ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কোতোয়ালীর অভিযানে গ্রেফতার ২

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০
||
  • প্রকাশিত সময় : জুলাই, ৪, ২০২০, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

এম এ আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী শুভর পিতা আনোয়ার হোসেন ও বোন অনামিকা। বৃহস্পত্রিবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান,
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুন ফুলবাড়িয়ার কালিবাজাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শুভকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫নং মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র অনুসারে শুভকে ঐ দিনই রাত প্রায় ১১ দিকে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স পাপড়ী রূপা রোগী শুভকে শিরাপথে ইনজেকশন পুশ করেন। এর পর পরই রোগী শুভ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এ অবস্থায় শুভর আচরণ সম্পর্কে তাৎনিক হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারকে তিনি অবহিত করেন। এদিকে ওয়ার্ডে রোগীর পাশে থাকা তার বোন অনামিকা, মা সুমি আক্তার ও বাবা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স পাপড়ী রূপাকে ঝাপটে ধরে বেপড়োয়া মারধর, টানাহেছড়া কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং হত্যার চেষ্টা করে। ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সহকর্মীরাসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করে। এদিকে কৌশলে শুভর পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

করোনাযোদ্ধা ডাক্তর, নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারীরা যেখানে জীবনবাজি রেখে দিনরাত চিকিৎসা দিয়ে আসছে, ঠিক এই মুহুর্তে হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্ঠার ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত কোতোয়ালী পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িতদের অতি অল্প সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফরিদুল হক বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১(৭)২০২০ দায়ের করে। মামলায় রোগী শুভর বোন অনামিকা, মা সুমি আক্তার ও পিতা আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টা পার না হতেই ঘটনার সাথে জড়িত অনামিকা ও তার পিতা আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, করোনাকালীন সময়ে যারা জীবনের ঝুকি নিয়ে দিনরাত চিকিৎসা দিয়ে আসছে। ঠিক এই সময়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত স্টাফ নার্সকে প্রকাশ্য পিটিয়ে আহত ও নাজেহাল কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই এই দুর্ধর্ষদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

টি.কে ওয়েভ-ইন